Thank you for trying Sticky AMP!!

রাজধানীতে ভাড়ায় চলবে মোটরসাইকেল

স্যাম অ্যাপ্লিকেশন সম্পর্কে জানাতে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ‘ডাটাভক্সসেল লিমিটেড’। মোটরসাইকেল ভাড়া নেওয়ার অ্যাপটি সম্পর্কে বলছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা।

রাজধানীতে চার লাখেরও বেশি ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল রয়েছে, যা দিয়ে প্রতিদিন চার লাখেরও বেশি যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব। এই চিন্তা থেকেই ‘ডাটাভক্সসেল লিমিটেড’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান একটি নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এসেছে, যার নাম ‘স্যাম’ (শেয়ার আ মোটরসাইকেল)। এটি মূলত একটি অ্যাপ্লিকেশন হিসেবে কাজ করবে। মোটরসাইকেল ভাড়া নিতে ‘স্যাম’ ব্যবহার করা যাবে। স্যাম ব্যবহার করে যাত্রীরা মোটরসাইকেল ভাড়া করে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত কিছু বাংলাদেশি ও ভারতীয় প্রকৌশলী মিলে অ্যাপটি তৈরি করেছেন।
আজ শনিবার সকালে গুলশানের একটি কমিউনিটি সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এই অ্যাপের নানা দিক তুলে ধরা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ডাটাভক্সসেল লিমিটেড বাংলাদেশে ই-কমার্স ভিত্তিক একটি নতুন ধরনের ব্যবসা শুরু করতে যাচ্ছে। এই স্যাম অ্যাপটি রাইডারের (যাত্রী) সঙ্গে বাইকারের (ব্যক্তিগত মোটরসাইকেলের মালিক) সংযোগ করিয়ে দেবে। বাইকার ও রাইডার স্যাম অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে একই গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে। যাত্রীরা তাদের টাকাও পরিশোধ করতে পারবে এই অ্যাপের মাধ্যমে। তাই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত নিরাপদ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, স্যাম অ্যাপটি সামাজিক সুবিধা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এটি মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষের জন্য নতুন বিকল্প পরিবহনব্যবস্থা। এ ছাড়া এটি অতিরিক্ত সময় ও শক্তি খরচ ছাড়া অতিরিক্ত কিছু অর্থ উপার্জনের সুযোগ করে দিচ্ছে।

স্যাম যেভাবে কাজ করবে
যাত্রী ও চালকের অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে রাইডার অ্যাপটি ইনস্টল থাকতে হবে। এই অ্যাপে লগ ইন থাকা অবস্থায় যাত্রী দুই কিলোমিটারে এলাকার মধ্যে থাকা বাইকারের কাছে অনুরোধ পাঠাতে পারবে। বাইকার সম্মত হলে অনুরোধ গ্রহণ করে যাত্রীকে তুলে তার গন্তব্যে পৌঁছে দেবেন। মাইলেজ মিটারটি দূরত্ব নির্ধারণ করবে এবং সে অনুযায়ী বিল হবে। বিল প্রদান হবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্যাম অ্যাপসের ই-ওয়ালেটের মাধ্যমে। নগদ টাকা লেনদেনের প্রয়োজন নেই। একটি রাইডের অনুরোধ করা অথবা একটি রাইড অনুমোদন করার আগে রাইডার ও বাইকার একজন আরেকজনকে মূল্যায়ন করার সুযোগ পাবেন। রাইডার ও বাইকারের সব তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা হবে নিরাপত্তার কারণে। কিছু তথ্য রাইডার ও বাইকার আদান–প্রদান করতে পারবেন, যখন তাঁরা একজন আরেকজনকে অনুরোধ করবেন এবং অনুরোধ গ্রহণ করবেন। এভাবে বাইকার ও রাইডার একজন আরেকজন সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারবেন যে তাঁরা কার যাত্রাসঙ্গী হচ্ছেন ।

সংবাদ সম্মেলনে ডাটাভক্সসেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমতিয়াজ কাসেম বলেন, এই প্রকল্পটি সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে বড় ভূমিকা রাখবে। ভবিষ্যতে ডাটাভক্সসেল লিমিটেড এই স্যাম সার্ভিসের মাধ্যমে পার্সেল ও ওষুধ সরবরাহ করবে।

ডাটাভক্সসেলের সঙ্গে কৌশলগত সহযোগী হিসেবে থাকছে ওমেরা, রহিম আফরোজ, বিকাশ, গ্যাটকো ও অলওয়েজ অনলাইন নেটওয়ার্ক। সংবাদ সম্মেলনে ডাটাভক্সসেলের মহাব্যবস্থাপক খালিদ বিন সালাম, কমিউনিকেশন পরিচালক এফ জেড হাসান উপস্থিত ছিলেন।

অ্যাপটি অ্যানড্রয়েডের গুগল প্লে স্টোরে আগামীকাল থেকে পাওয়া যাবে। শিগগিরই আইওএস প্ল্যাটফর্মেও এটি উন্মুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন অ্যাপটির উদ্যোক্তারা।