Thank you for trying Sticky AMP!!

রাশিয়ার পথে শাবিপ্রবি ও বুয়েট

চলছে এসিএম আইসিপিসি ঢাকা পর্বের প্রতিযোগিতা

এসিএম আন্তর্জাতিক কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার (আইসিপিসি) চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা আগামী বছর অনুষ্ঠিত হবে রাশিয়ায়। ২১ থেকে ২৬ জুন অনুষ্ঠেয় এ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ থেকে অংশ নেবে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ‘আত্মপ্রত্যয়ী’ দল এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ‘ম্যাক্স+সেভেন’ দল। বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এই প্রোগ্রামিং আয়োজনের মূল পর্বে এ দুটি দল অংশ নেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করল ৬ ডিসেম্বর নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ঢাকা অঞ্চলের প্রতিযোগিতা থেকে।
এসিএম আইসিপিসি ঢাকা অঞ্চলের পরিচালক অধ্যাপক আবুল এল হক জানান, “আশা করছি, এবারে দুটি দল চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেবে। শাবিপ্রবি সরাসরি সুযোগ পাচ্ছে, আর ‘ওয়াইল্ড কার্ড’ পদ্ধতিতে বুয়েটও অংশ নেওয়ার সুযোগ পেতে পারে, যা পরে নিশ্চিত হওয়া যাবে।”

চলতি বছরের আয়োজন: ঢাকার প্রতিযোগিতায় নিবন্ধিত ১১০টি দলের ১০৭ দল প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। ১১টি প্রোগ্রামিং সমস্যার মধ্যে ৮৬০ মিনিটে সাতটি সমাধান করে চ্যাম্পিয়ন হয় ‘আত্মপ্রত্যয়ী’। ৯১৫ মিনিটে সাতটি প্রোগ্রামিং সমস্যার সমাধান করে প্রথম রানারআপ হয় ‘বুয়েট ম্যাক্স+সেভেন’ দল। এ ছাড়া ছয়টির সমাধান দিয়ে দ্বিতীয় রানারআপ হয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘জেইউ অ্যাসাসিনস’। প্রতিযোগিতায় চতুর্থ ও পঞ্চম স্থান অধিকার করে বুয়েটের হাট-টিমা-টিম টিম এবং মিথরানদি। এ দুটি দলও ছয়টি করে প্রোগ্রামিং সমস্যার সমাধান করেছে। এসিএম আইসিপিসি ঢাকা পর্বের বিচারক প্যানেলের পরিচালক শাহরিয়ার মনজুর জানান, ‘দেশের বর্তমান সামগ্রিক অবস্থার কারণে এবার বাংলাদেশ ছাড়া বিশ্বের অন্য কোনো দেশের প্রতিযোগীরা এবারে ঢাকার আয়োজনে অংশ নিতে পারেনি। তার পরও বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৩৬টি দলের মধ্যে প্রাথমিক প্রতিযোগিতায় উত্তীর্ণ হয়ে ১১০টি দল অংশ নেয়। সব মিলিয়ে ভালোই হয়েছে।

বিজয়ী দলের কথা: শাবিপ্রবির ‘আত্মপ্রত্যয়ী’ দলের তিন সদস্য হলেন কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী নাফিস আহমেদ, সৈয়দ শাহরিয়ার মজুমদার ও ইমতিয়াজ শাকিল। কোচ ছিলেন একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দেবাকর সামান্ত। ইমতিয়াজ শাকিল জানান, ‘আমরা আমাদের প্রথম বর্ষ থেকেই আসলে নানা ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছি। আর এবারই প্রথম চার বছর পর চ্যাম্পিয়ন হলাম।’

‘ম্যাক্স+সেভেন’ দলের সদস্যরা হলেন হাফিজ উদ্দিন, প্রসেনজিৎ বড়ুয়া ও প্রত্যয় মজুমদার। এর মধ্যে হাফিজ ও প্রসেনজিৎ বুয়েটের কম্পিউটার কৌশল এবং প্রত্যয় তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী। এর আগে গত বছর হাফিজ ও প্রসেনজিৎ প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার আন্তর্জাতিক আসরে যোগ দিয়েছিলেন। দ্বিতীয় রানারআপ জেইউ অ্যাসাসিনসের সদস্যরা হলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের সুমন ভদ্র ও অনিন্দ্য মজুমদার এবং আইআইটি বিভাগের নাফিস মো. সাদিক। এ দলের কোচ ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। সুমন ভদ্র বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি আরও ভালো করার। ভবিষ্যতে প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার বিশ্ব আসরে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে চাই।’
একই আশাবাদ প্রতিযোগিতায় চতুর্থ ও পঞ্চম স্থান অর্জনকারী বুয়েটের হাট-টিমা-টিম টিম ও মিথরানদির দলের সদস্যদের। হাট-টিমা-টিম টিমের সদস্যরা হলেন মো. আশিকুল মোস্তফা, মো. মুনতাকিম সাদিক ও আবদুল মুহিত। মিথরানদির দলের সদস্যরা হলেন ফরসাদ হোসেন, সাদিয়া নাহরিন ও অভিজিৎ সরকার।