Thank you for trying Sticky AMP!!

'ফেসবুক সিগারেটের মতো'

ফেসবুকের আসক্তি ভয়ানক হয়ে উঠতে পারে। ছবি: রয়টার্স।

ফেসবুকের ব্যবহার নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে নানা মত রয়েছে। তবে ফেসবুকের অতিরিক্ত ব্যবহার যে ভালো নয়, তা প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা অনেক দিন ধরেই বলে আসছেন। এর অতিরিক্ত ব্যবহার শরীর ও মনের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। সম্প্রতি ফেসবুকের নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে বললেন ক্লাউড কম্পিউটিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান সেলসফোর্সের প্রধান নির্বাহী মার্ক বেনিওফ।

বেনিওফ বলেন, ‘ফেসবুক হলো নতুন সিগারেট। আপনারা জানেন, এটা আসক্তি সৃষ্টি করে। এটা আপনার জন্য ভালো নয়। আপনাকে অনেক মানুষ এটা ব্যবহার করার জন্য টেনে আনবে। কী ঘটবে, আপনি বুঝতেই পারবেন না। তাই সরকারের এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। কী ঘটছে, সে বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে নিয়ন্ত্রণ থাকা জরুরি।’

শিশুদের ওপর ফেসবুকের প্রভাব নিয়ে বেশি উদ্বেগ প্রকাশ করেন বেনিওফ। তাঁর ভাষ্য, সিগারেট যেভাবে সমাজের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে, ফেসবুকও সেভাবেই প্রভাব ফেলছে।

প্রযুক্তি জগতে স্পষ্টভাষী বলে পরিচিত বেনিওফ। এর আগেও তিনি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে কথা বলেছেন। গত জানুয়ারি মাসে সুইজারল্যান্ডে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসিকে তিনি বলেন, সিলিকন ভ্যালিকে নিয়ন্ত্রণ শুরু করা এখন ওয়াশিংটনের সময়ের ব্যাপার।

সেলসফোর্সের প্রধান নির্বাহী মার্ক বেনিওফ। ছবি: রয়টার্স

মার্কিন নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ আর ভোক্তা প্রযুক্তির আসক্তি নিয়ে আলোচনায় বেনিওফ বলেন, তামাক খাতকে যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়, সেভাবেই ফেসবুককে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক লাভের আগে ভোক্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা উচিত বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

এর আগে অ্যাপলপ্রধান টিম কুকও একই ধাঁচে মত দিয়েছিলেন। তার আগে এমন মন্তব্য করেছিলেন ফেসবুকের সাবেক প্রেসিডেন্ট শন পার্কার। তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের শিশুদের মস্তিষ্কের কী করছে, তা শুধু ঈশ্বরই জানেন।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ব্যবহারকারীদের আসক্ত হওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে শন পার্কার বলেন, মানুষের দুর্বলতাকে পুঁজি করে তাদের বড় ধরনের ক্ষতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি।

শন পার্কার বলেন, ফেসবুকের মতো এ ধরনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তৈরির পেছনে মূল যে উদ্দেশ্য কাজ করেছে, তা হলো যতটা সম্ভব মানুষের সময় এবং মনোযোগ কেড়ে নেওয়া। প্রতিমুহূর্তেই মস্তিষ্কে ডোপামিনের মতো একধরনের উত্তেজনা কাজ করে—কেউ পোস্ট বা ছবিতে লাইক বা কমেন্ট করল কি না কিংবা কেউ নতুন কিছু পোস্ট করল কি না। আর এর মাধ্যমেই ব্যবহারকারীরা এখানে কনটেন্ট বাড়িয়ে চলেছে। ফেসবুককে দানব বলেও অভিহিত করেন শন পার্কার।