Thank you for trying Sticky AMP!!

অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন মন্ত্রীর পদত্যাগ

নাটকীয় ভোটযুদ্ধে অভিবাসন ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার ডাটন (বাঁয়ে) হেরে গিয়ে মন্ত্রিত্বও ছেড়েছেন ইতিমধ্যে

অস্ট্রেলিয়ায় আজ হঠাৎ করেই ক্ষমতাসীন দলের এক সভায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী পরিবর্তন নিয়ে ভোট গ্রহণ করা হয়েছে। নাটকীয় এ ভোটযুদ্ধে অভিবাসন ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার ডাটন হেরে গিয়ে মন্ত্রিত্বও ছেড়েছেন ইতিমধ্যে। অন্যদিকে, ম্যালকম টার্নবুল জয়ী হয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর পদে বহাল থাকলেও বর্তমানে নিজ দল লিবারেল পার্টির তোপের মুখে আছেন তিনি।

আজ মঙ্গলবার সকালে হঠাৎ করেই দলীয় কোরামে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব চ্যালেঞ্জে করে ভোট গ্রহণ হয়। দলের কার্যালয়ে নির্দিষ্ট সদস্যরা এ ভোটে অংশগ্রহণ করেন। ক্ষমতাসীন অস্ট্রেলিয়ার লিবারেল পার্টির প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুলের বিরুদ্ধে নেতৃত্ব পরিবর্তনের এ চ্যালেঞ্জ করেন দেশটির অভিবাসন মন্ত্রী পিটার ডাটন। তবে সদস্যদের দেওয়া ভোটের ভিত্তিতে টার্নবুলই জয়ী হন। চ্যালেঞ্জে হেরে গিয়ে মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন পিটার ডাটন। অস্ট্রেলিয়ার বিদ্যুৎ নীতিমালা নিয়ে গত সপ্তাহ থেকেই টার্নবুলের প্রধানমন্ত্রিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে আসছিলেন দলের অন্যতম নেতা সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবট। তবে তিনি নেতৃত্ব নিয়ে চ্যালেঞ্জে না করলেও ম্যালকম টার্নবুলকে চ্যালেঞ্জে ফেলে দেন তারই মন্ত্রিসভার মন্ত্রী পিটার ডাটন।

অস্ট্রেলিয়ায় সরকারি দলের প্রধান নেতাই দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান। দলের নির্দিষ্ট সদস্যরা ভোটের মাধ্যমে দলের প্রধান পদটি যেকোনো সময় পরিবর্তন করতে পারেন। ২০১৫ সালে একইভাবে দলীয় চ্যালেঞ্জে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী টার্নবুল। আর এবার হঠাৎ পিটার ডাটনের করা চ্যালেঞ্জে টার্নবুলই জয়ী হন। ৪৮-৩৫ ভোটে ডাটন হেরে যান। হেরে গিয়ে মন্ত্রিত্ব থেকেও ইস্তফা দেন তিনি। ডাটন জানান তিনি টার্নবুল বিদ্বেষী নন এবং এমন কোনো ক্ষোভ থেকেও পদত্যাগ করেননি। আরও বলেন, ভোট নেওয়ার সিদ্ধান্তের পেছনে কারণ ছিল একটাই, সামনের নির্বাচনে বিরোধী দলীয় প্রধান বিল শর্টেন যেন প্রধানমন্ত্রিত্ব না পান।

অভিবাসন মন্ত্রীর পদত্যাগ নিয়ে টার্নবুল বলেন, ‘আমি তাকে তাঁর পদে থাকার আমন্ত্রণ জানিয়েছি, কিন্তু পিটার বলেন, আমাকে দলের নেতৃত্ব নিয়ে চ্যালেঞ্জ করার পর তিনি মনে করেন না মন্ত্রিসভায় তিনি থাকতে পারেন।’

মন্ত্রী স্কট মরিসনকে নতুন অভিবাসন মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী টার্নবুল। এদিকে পিটার ডাটনের পদত্যাগে অনেকই স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন, বিশেষত দেশটির নাগরিকত্ব গ্রহণের আবেদনকারীরা। পিটার ডাটন নাগরিকত্বের আইনসহ অন্যান্য অভিবাসন আইনে কঠোরতা জারি করেছিলেন। এ ছাড়া দেশটির সবচেয়ে জনপ্রিয় সাবক্লাস ৪৫৭ কর্মভিসাও ডাটনের মন্ত্রিত্বের আমলেই বাতিল করে দেওয়া হয়।