Thank you for trying Sticky AMP!!

অ্যাসাঞ্জকে ফেরত চাইল যুক্তরাষ্ট্র

জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ

উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রে এনে বিচারের মুখোমুখি করতে জোর তৎপরতা শুরু করেছে মার্কিন প্রশাসন। অ্যাসাঞ্জকে প্রত্যর্পণের জন্য যুক্তরাজ্য সরকারকে গতকাল মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধও জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ। ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক মার্কিন কর্মকর্তা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অলাভজনক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান উইকিলিকস যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের কোটি কোটি অতিসংবেদনশীল ও গোপন নথি ফাঁস করে বিশ্বে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্রের রোষানলে পড়েন উইকিলিকসের প্রধান অ্যাসাঞ্জ। গ্রেপ্তার ও যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণ ঠেকাতে ২০১২ সালে লন্ডনে ইকুয়েডরের দূতাবাসে আশ্রয় নেন তিনি। তবে গত ১১ এপ্রিল ইকুয়েডরের দূতাবাসে ঢুকে অ্যাসাঞ্জকে গ্রেপ্তার করে লন্ডনের পুলিশ। এরপর থেকেই আশঙ্কা করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দিতেই অ্যাসাঞ্জকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের বন্দী প্রত্যর্পণ আইন রয়েছে। সেই আইন অনুযায়ী গ্রেপ্তারের ৬০ দিনের মধ্যে অ্যাসাঞ্জের প্রত্যর্পণের বিষয়ে আবেদনের বিধান রয়েছে। তবে ওই আইনে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কিছু বাধাও রয়েছে। যেমন প্রত্যর্পণ আবেদনের সময়সীমার আগে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোর বিচার করতে পারবে না যুক্তরাষ্ট্র।

গত মাসে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে ১৮টি অভিযোগ এনেছেন মার্কিন কৌঁসুলিরা। অভিযোগগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের গুপ্তচরবৃত্তি আইন লঙ্ঘন এবং সরকারি কম্পিউটার হ্যাকিংয়ের ষড়যন্ত্রের বিষয়টি রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কর্মকর্তাদের মতে, ২০১৭ সালে ভোল্ট–৭ টুলস ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) অতিগোপন তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেনি মার্কিন বিচার বিভাগ। ওই ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তাব্যবস্থার জন্য অধিক হুমকির বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন ওই কর্মকর্তারা। তবে তথ্য ফাঁস করে উইকিলিকসের কাছে হস্তান্তরের জন্য নিউইয়র্কের ফেডারেল আদালতে অভিযোগ আনা হয় সিআইএয়ের সাবেক কর্মী জশুয়া অ্যাডাম শুলটের বিরুদ্ধে। যদিও সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের তদন্ত কর্মকর্তারা তথ্য ফাঁসের ঘটনায় অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে তদন্ত বজায় রেখেছেন।