Thank you for trying Sticky AMP!!

আনারস পাতার ড্রোন

আনারসখেতে উড়ছে আনারসের পাতা দিয়ে তৈরি কাঠামোর ড্রোন। সম্প্রতি মালয়েশিয়ার জেনজারোম এলাকায়

বিশ্বজুড়েই প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। এরই ধারায় দিন দিন বাড়ছে ড্রোনের ব্যবহারও। নিরাপত্তা, উদ্ধারকাজ, পণ্য সরবরাহসহ নানা কাজেই আসছে এই প্রযুক্তি। এ ছাড়া ড্রোনকে আরও কার্যকর ও পরিবেশবান্ধব করতেও গবেষণা করে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। এবার মালয়েশিয়ার একদল গবেষক আনারসের পাতা থেকে ড্রোন তৈরির কৌশল উদ্ভাবন করেছেন।

গবেষকেরা বলছেন, আনারসের পাতা ব্যবহার হয় না বললেই চলে। কাজেই এর থেকে তন্তু আহরণ করে যদি কোনো কাজে লাগানো যায়, তাহলে তা হবে উল্লেখযোগ্য অর্জন। তা ছাড়া এ ধরনের কাজ পরিবেশবান্ধবও।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, মালয়েশিয়ার ওই গবেষক দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির পুত্রা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ তারিক হামিদ সুলতান। তিনি বলেন, রাজধানী কুয়ালালামপুর থেকে প্রায় ৬৫ কিলোমিটার দূরে হুলু লাঙ্গাত এলাকায় আনারসের ব্যাপক চাষ হয়। সেখানে আনারসের অনেক পাতা ফেলে দেওয়া হয়। তিনি ও তাঁর দল এই পাতাগুলোর টেকসই ব্যবহারের কৌশল উদ্ভাবনের চেষ্টা করছেন।

মোহাম্মদ তারিক হামিদ সুলতান বলেন, ‘আমরা আনারসের পাতাগুলোকে তন্তুতে পরিণত করছি। এসব তন্তু উড়োযান তৈরিতে, বিশেষ করে ড্রোন তৈরিতে কাজে লাগতে পারে।’ তিনি জানান, তাঁরা মূলত ড্রোনের কাঠামো তৈরি করেছেন আনারসের পাতা থেকে সংগৃহীত তন্তু দিয়ে। কৃত্রিম তন্তুর তুলনায় এই তন্তু হালকা। এ ছাড়া এর দৃঢ়তাও আনুপাতিক হারে বেশি। এই কৌশল পুরোপুরি সফল হলে ড্রোন তৈরি আরও সাশ্রয়ী হবে।

ড্রোনটি কোনো কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হলে ওই অবকাঠামো মাটিচাপা দেওয়া যাবে এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে তা পচে মাটির সঙ্গে মিশে যাবে বলে জানান মোহাম্মদ তারিক হামিদ সুলতান। তিনি বলেন, তাঁদের উদ্ভাবিত ড্রোনটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ১ কিলোমিটার ওপরে ২০ মিনিট উড়তে পেরেছে। তাঁরা এ ধরনের আরও বড় আকারের ড্রোন তৈরির চেষ্টা করছেন এখন, যাতে তা আরও বেশি ভর বহন করতে পারে। এ ছাড়া এই ড্রোনে ক্যামেরাসহ অন্যান্য প্রযুক্তিও সংযোজনের চেষ্টা চলছে। কৃষিকাজ ও এলাকা নজরদারিতে এ ধরনের ড্রোন কাজে আসবে বলে জানান এই গবেষক।