Thank you for trying Sticky AMP!!

আর ছাড় দেবে না যুক্তরাজ্য

থেরেসা মে। ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে (ব্রেক্সিট) সমঝোতার ক্ষেত্রে তাঁর দেশ আর নতুন করে কোনো ছাড় দেবে না। একটি ‘ভালো চুক্তি’ সম্পাদিত হবে বলে তিনি আশাবাদী। তবে যদি চুক্তি না হয় সেই পরিস্থিতির জন্যও প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে তাঁর সরকার।

আজ রোববার স্থানীয় টেলিগ্রাফ পত্রিকায় লেখা এক কলামে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে এসব কথা বলেন। ব্রেক্সিট ইস্যুতে নতুন কোনো গণভোটের সম্ভাবনাও নাকচ করে দিয়েছেন থেরেসা মে। তিনি বলেছেন, পুনরায় গণভোট আয়োজন হবে ‘আমাদের গণতন্ত্র ও বিশ্বাসের সঙ্গে প্রতারণা’।

ব্রেক্সিট চুক্তি সম্পাদনে থেরেসা মের প্রস্তাব নিয়ে ব্রেক্সিটপন্থী এবং ব্রেক্সিট বিরোধী দুই পক্ষের মধ্যেই সমালোচনা চলছে। সম্পাদিত চূড়ান্ত চুক্তি কার্যকর করা বা না করা নিয়ে গণভোট আয়োজনের দাবিতে ‘দ্য পিপলস ভোট’ নামে সর্বদলীয় একটি গ্রুপ মাঠে নেমেছে। তাঁরা মূলত ব্রেক্সিট বিরোধী। সরকারি ও বিরোধী দলের এমপিদের পাশাপাশি শীর্ষ ব্যবসায়ীরাও এতে যুক্ত।

কট্টর ব্রেক্সিটপন্থীরা থেরেসা মেকে প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দিতে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বলে প্রচার আছে। তাঁদের নেতৃত্বে আছেন, মের প্রস্তাবের বিরোধিতা করে মন্ত্রিপরিষদ থেকে পদত্যাগ করা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন। যে প্রস্তাব নিয়ে থেরেসা মে ‘নিজ গৃহে’ এতটা বিপদে, সেই প্রস্তাব মেনে নিয়ে ইইউ যে চুক্তি সম্পাদন করে ফেলবে সেই আলামতও নেই। এই সংকটের কারণে যুক্তরাজ্যের ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দেহ, উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তা এখন চরমে। এমন পরিস্থিতিতে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার দৃঢ় মনোবলের কথা জানান দিলেন প্রধানমন্ত্রী মে।

থেরেসা মে আরও বলেন, তাঁর সরকার চেকার্স এগ্রিমেন্টের বাইরে জাতীয় স্বার্থ নেই এমন কিছুতে ছাড় দেবে না। তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যের ভবিষ্যৎ কাঠামো ঠিক করার ক্ষেত্রে সামনের মাসগুলো সংকটপূর্ণ। কিন্তু যুক্তরাজ্যের মানুষের দেওয়া গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের বিষয়ে তাঁর ধারণা পরিষ্কার।

থেরেসা মে বলেন, গত জুলাই মাসে চেকার্স এগ্রিমেন্টের পর ব্রেক্সিট সমঝোতায় ‘বাস্তবিক অগ্রগতি’ হয়েছে। তবে সমঝোতার ধাপ আরও বাকি। একটি সফল চুক্তির মধ্য দিয়ে বিচ্ছেদ কার্যকরের বিষয়ে তাঁর সরকার আশাবাদী জানিয়ে থেরেসা মে বলেন, চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিটের জন্যও সরকার প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে। যদিও ওই পরিস্থিতি যুক্তরাজ্য কিংবা ইইউ কারও জন্যও ভালো হবে না। তবে যুক্তরাজ্য ওই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠবে এবং সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

থেরেসা মে বলেন, চুক্তি হোক বা না হোক ২০১৯ সালের ২৯ মার্চ রাত ১১টায় বিচ্ছেদ কার্যকর হবে বলে দিন ঠিক করা আছে।