Thank you for trying Sticky AMP!!

কাতারের সঙ্গে দ্বন্দ্ব মেটানোর চুক্তি সৌদির

উপসাগরীয় দেশগুলোর জোট গালফ কো–অপারেশন কাউন্সিলের (জিসিসি) সম্মেলনে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। আল–উলা, সৌদি আরব, ০৫ জানুয়ারি

কাতারের সঙ্গে দ্বন্দ্ব মেটানোর চুক্তি করেছে সৌদি আরবসহ উপসাগরীয় দেশগুলো। আজ মঙ্গলবার উপসাগরীয় দেশগুলোর জোট গালফ কো–অপারেশন কাউন্সিলের (জিসিসি) সম্মেলনে তিন বছরের এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।


কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল–জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি আরবের আল–উলা শহরে আয়োজিত ওই সম্মেলনে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান একে ‘সংহতি ও স্থিতিশীলতার’ চুক্তি বলে মন্তব্য করেন।


প্রায় সাড়ে তিন বছর দ্বন্দ্বের পর গতকাল সোমবার সৌদি আরব ও কাতার পরস্পরের আকাশ, স্থল ও সমুদ্র সীমান্ত খুলে দেওয়ার কথা জানায়। আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা তৈরি ও সন্ত্রাসবাদ উসকে দেওয়ার অভিযোগে ২০১৭ সালের জুনে কাতারের সঙ্গে সব ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেয় সৌদি আরব। সৌদির সঙ্গে যোগ দেয় বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিসর। এর পাশাপাশি স্থল, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগও বন্ধ করে দেয় তারা। এই দেশগুলো দোহার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থন করার পাশাপাশি ইরান–ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ তোলে। তবে কাতার শুরু থেকেই এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছে।


উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর এই সমঝোতাকে বড় মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছেন, কাতারের সঙ্গে তিন বছরের ঝগড়া ভুলে উপসাগরীয় সহযোগিতা কাউন্সিলের সদস্যরা ‘সংহতি এবং স্থিতিশীলতা’ চুক্তি করতে সম্মত হন। সৌদি যুবরাজ এই চুক্তিতে পৌঁছার জন্য মধ্যস্থতা করায় যুক্তরাষ্ট্র ও কুয়েতকে ধন্যবাদ জানান।  


সৌদি যুবরাজ বলেন, ‘আমাদের অঞ্চলের উন্নতি ও চারপাশে থাকা চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করার জন্য ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা জরুরি। বিশেষত ইরান সরকারের পারমাণবিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি এবং নাশকতা ও ধ্বংসের জন্য তাদের পরিকল্পনা থেকে উদ্ভূত হুমকি মোকাবিলায় একতা জরুরি প্রয়োজন।’