Thank you for trying Sticky AMP!!

কোভিড পজিটিভ নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় ছয় বাংলাদেশি

প্রতীকী ছবি: রয়টার্স

দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম আজ শনিবার খবর দিয়েছে যে বাংলাদেশ থেকে একই উড়োজাহাজের ফ্লাইটে দক্ষিণ কোরিয়ায় ঢোকা ছয়জন বাংলাদেশি ও একজন দক্ষিণ কোরীয় নাগরিক করোনাভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষায় পজিটিভ প্রমাণিত হয়েছেন।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তা সংস্থা ইওনহাপ জানায় যে এই সাতজনের সবাই গত বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে রওনা হয়ে পথে যাত্রাবিরতির পর কোরিয়ান এয়ারের একটি ফ্লাইটে গতকাল শুক্রবার ভোরে সিউলের পশ্চিমে অবস্থিত ইনচন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। ছয় বাংলাদেশির মধ্যে তিনজনকে জেজু শহরের চেজু হাল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে শনাক্ত করেছে সংবাদমাধ্যম। এই তিনজনসহ একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ জন বাংলাদেশি ছাত্র একই উড়োজাহাজে ভ্রমণ করলেও অন্যদের মধ্যে ১৪ জন করোনাভাইরাসের পরীক্ষায় নেগেটিভ প্রমাণিত হয়েছেন এবং একজনের পরীক্ষার ফল অনিশ্চিত রয়ে গেছে।

দক্ষিণ কোরিয়া কয়েকটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর উড়োজাহাজ চলাচলের জন্য সীমিত মাত্রায় খুলে দিলেও বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের জন্য করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার স্থানীয় কয়েকটি সংবাদপত্র খবর দিয়েছে যে বাংলাদেশি ছাত্ররা ইনচন বিমানবন্দর থেকে ট্যাক্সি নিয়ে সিউলের কিম্পো বিমানবন্দরে গিয়ে সেখান থেকে স্থানীয় উড়োজাহাজের ফ্লাইটে বৃহস্পতিবার বিকেলে জেজু বিমানবন্দরে অবতরণ করার পর পরীক্ষা প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে তাঁদের যেতে হয়।

দক্ষিণ কোরিয়ার কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে যে একই সঙ্গে ঢাকা থেকে আসা সাত বছর বয়সী দক্ষিণ কোরীয় এক বালকের দেহেও করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। তবে কর্তৃপক্ষ এখন যে বিষয় নিয়ে উদ্বিগ্ন, তা হলো বাংলাদেশি যাত্রীদের সঙ্গে একই উড়োজাহাজে ভ্রমণ করা লোকজন, ট্যাক্সিচালকসহ তাঁদের সংস্পর্শে আসা অন্যান্যদের মধ্যেও করোনাভাইরাস সংক্রমিত হতে পারে। কোরিয়ান এয়ারের সেই উড়োজাহাজে আসনসংখ্যা হচ্ছে ২৮৪ এবং ঠিক কতজন যাত্রী ফ্লাইটে ছিলেন এবং তাঁদের পরিচয় খুঁজে বের করার প্রক্রিয়া কর্তৃপক্ষ শুরু করেছে।

তিনজন বাংলাদেশি ছাত্রের বাইরে বাংলাদেশ থেকে আরও ফিরে আসা তিনজন অভিবাসী শ্রমিকের দেহেও করোনা পজিটিভ প্রমাণিত হওয়ার খবর সংবাদমাধ্যম দিয়েছে।