Thank you for trying Sticky AMP!!

নেতৃত্বের সংকটে অস্ট্রেলিয়ায় সংসদ মুলতবি

নেতৃত্ব ধরে রাখতে চাপে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল। ছবি: রয়টার্স

নেতৃত্বের সংকটের মধ্যেই অস্ট্রেলিয়ায় সংসদ মুলতবি ঘোষণা করেছে অস্ট্রেলিয়ার সরকার। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুলকে তাঁর অবস্থান ধরে রাখতে লড়াই করতে হচ্ছে। টার্নবুলকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দিতে জ্যেষ্ঠ নেতারা চাপ দিচ্ছেন।

বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, নিজ দলের রক্ষণশীল অংশের বিদ্রোহ আর ভোটের ব্যবধান কম হওয়ায় নেতৃত্ব টিকিয়ে রাখার চাপে রয়েছেন টার্নবুল।

বিরোধী দলের নেতা বিল শর্টেন বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ায় এখন কোনো কার্যকর সরকার নেই।’

আজ বৃহস্পতিবার হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভে ভোটাভুটির মাধ্যমে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সংসদ মুলতবি করা হয়েছে। ৭০-৬৮ ভোটের ব্যবধানে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।

২১ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল নেতা হিসেবে যোগ্য নন বলে দাবি ওঠে। তা প্রমাণে তাঁকে চ্যালেঞ্জও করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এই অযোগ্যতার দাবি তোলেন তাঁর নিজ সভাসদদেরই একজন, অভিবাসন ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার ডাটন।

টার্নবুলের নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করেন ডাটন। ক্ষমতাসীন দল লিবারেল পার্টির দলীয় কার্যালয়ে নির্দিষ্ট সদস্যদের দ্বারা ভোট নেওয়া হয়। ভোটের ফলাফলে অল্পের জন্য প্রধানমন্ত্রিত্ব হারাননি টার্নবুল। কিন্তু রাজনীতির গ্যাঁড়াকলে পড়ে যায় অস্ট্রেলিয়া।

৪৮-৩৫ ভোটে হেরে মন্ত্রিত্বে ইস্তফা দিয়েছেন ডাটন। মন্ত্রী স্কট মরিসনকে ডাটনের স্থলাভিষিক্ত করার সুপারিশ করেন প্রধানমন্ত্রী টার্নবুল।

ডাটনের প্রধানমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করা, ভোটে হেরে যাওয়া ও মন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেওয়া—সবকিছুই খুব দ্রুত ঘটে যায়।

ডাটনের মন্ত্রিত্ব ত্যাগ করার পর লিবারেল পার্টির আরও বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী তাঁদের পদ থেকে সরে যেতে চান। সবার আগে মাইকেল সুকার তাঁর ইস্তফাপত্র জমা দেন। এরপর একে একে অনেকেরই ইস্তফাপত্র জমা পড়ে পার্টি অফিসে। ইস্তফা চাওয়া সবাই পিটার ডাটনের পক্ষ হয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ভোট দেন।

এর মধ্যে বেশ কয়েকজনের পদত্যাগ মঞ্জুর করেছেন দলের প্রধান টার্নবুল।