Thank you for trying Sticky AMP!!

পর্নো কেলেঙ্কারি: সহকর্মীকে বরখাস্ত করলেন মে

ডামিয়ান গ্রিন

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে তাঁর ঘনিষ্ঠতম রাজনৈতিক সহকর্মী ও ফার্স্ট সেক্রেটারি অব স্টেট (সিনিয়র মন্ত্রীর মর্যাদা) ডামিয়ান গ্রিনকে বরখাস্ত করেছেন। পার্লামেন্টারি অফিসের নিজের কম্পিউটারে হাজার হাজার অশ্লীল ছবি রাখার দায়ে তাঁর বিরুদ্ধে এ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিলেন তিনি। এর আগে গ্রিন স্বীকার করেছেন, তিনি এ-সংক্রান্ত অভিযোগ নিয়ে মিথ্যা বলেছিলেন।

গ্রিনের বিরুদ্ধে অফিসের কম্পিউটারে পর্নো ছবি রাখার অভিযোগ তদন্ত করেছে যুক্তরাজ্যের মন্ত্রিসভাবিষয়ক অফিস। তদন্তে দেখা গেছে, এর আগে তিনি ওই অভিযোগ অস্বীকার করে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা সঠিক নয় ও বিভ্রান্তিকর।

অভিযোগের তদন্তকাজে সংশ্লিষ্ট স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের একজন সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, সরকারি গোপন নথিপত্র ফাঁসের এক ঘটনার তদন্তের অংশ হিসেবে ২০০৮ সালে গ্রিনের কম্পিউটারে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। তখন তাঁর কম্পিউটারে কয়েক হাজার পর্নো ছবি পাওয়া যায়। তবে কোনো অবৈধ নথিপত্র পাওয়া যায়নি। পর্নো কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে গ্রিনের বাধ্যতামূলকভাবে সরে যাওয়ার ঘটনাটি প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের জন্যও এক ব্যক্তিগত ধাক্কা। মন্ত্রিসভায় মের ঘনিষ্ঠতম মিত্র ছিলেন গ্রিন। গ্রিনকে নিয়ে গত দুই মাসে মের মন্ত্রিসভা থেকে তিনজন সদস্য অপসারিত হলেন। ইতিমধ্যে নারীদের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ আচরণ করার অভিযোগে পদত্যাগ করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মাইকেল ফ্যালন। এ ছাড়া ইসরায়েলের জ্যেষ্ঠ রাজনীতিকদের সঙ্গে অননুমোদিত বৈঠক করার দায়ে পদত্যাগ করেন আন্তর্জাতিক উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল।

গ্রিনের বিরুদ্ধে যখন ওই সব অভিযোগ উঠেছিল তখন তিনি বলেছিলেন, এর সবই পুরোপুরি মিথ্যা।