Thank you for trying Sticky AMP!!

সড়ক, সেতু—সব রাঙানো হয়েছে বেগুনি রঙে

পর্যটক টানতে ‘বেগুনি’ কৌশল

বেগুনি রঙের পোশাক পরে কয়েকজন নারী কাজ করছিলেন মাঠে। সড়কে নেই কালো রঙের পিচ, সেই রং হলো বেগুনি। সেতু থেকে বাড়ি—সবই বেগুনি রঙে রাঙানো।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার বানওল ও বাকজি দ্বীপ এমন বেগুনি সাজে সেজেছে। দ্বীপের নাম হয়ে গেছে ‘পার্পল আইল্যান্ডস’। সেখানকার বাড়িঘর, রাস্তাঘাট ও সেতু রাঙানো হয়েছে বেগুনি রঙে। তার সঙ্গে মিলিয়ে একই রঙের পোশাক পরছেন স্থানীয় অধিবাসীরাও। জানা গেছে, পর্যটক আকর্ষণ করতেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

বেগুনি রঙের পোশাক পরে কাজে ব্যস্ত তাঁরা

এই দ্বীপের স্থানীয় একটি ফুল আছে, যা কিনা বেগুনি রঙের। সেখান থেকেই বেগুনি রঙে দ্বীপ রাঙানোর ধারণা নেওয়া হয়েছে। এমনকি বেগুনি রঙের অন্যান্য ফুল ও অর্কিডগাছও লাগানো হচ্ছে দ্বীপের বিভিন্ন স্থানে।

বেগুনি রঙে রাঙা রাস্তায় হাঁটছেন পর্যটকেরা

বাকজি দ্বীপের এক গ্রামের বাসিন্দা শিন দিওক-ইম (৭৯)। তিনি বলেন, ‘আমাদের মতো বয়স্কদের এখানে অনেকটা নির্জন জীবন। যখন থেকে তরুণেরা নানা কারণে আমাদের এই দ্বীপ ছেড়ে চলে যেতে থাকে, তখন থেকেই এমন অবস্থা। আমি খুশি এই ভেবে যে তরুণ ও শিশুরা এই শহর দেখতে আবার ফিরে আসছে। তারা আমার নাতি-নাতনির সমান।’

দ্বীপ দুটির পরিবেশ বেশ শান্ত। সব মিলিয়ে বাসিন্দা শতাধিক। দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারের পক্ষ থেকেই দ্বীপ দুটিকে পর্যটনস্থান হিসেবে গড়ে তোলার প্রকল্প নেওয়া হয়। ২০১৫ সাল থেকে শিনান কাউন্টিতে প্রায় ৪০ লাখের বেশি ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে। ওই এলাকাকে বেগুনি রঙে রাঙাতেই এই বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করতে হয়েছে।

সেতু রাঙানো হয়েছে বেগুনি রঙে

পার্পল আইল্যান্ডস এলাকার রেস্তোরাঁগুলোতে বেগুনি রঙের থালায় খাবার পরিবেশন করা হয়। আবার বেগুনি রঙের পোশাক পরে কোনো পর্যটক দ্বীপে এলে পেয়ে যাবেন বিনা মূল্যে ঢোকার

সুযোগ। পার্পল আইল্যান্ডসে এরই মধ্যে পর্যটকদের ভিড়ও বেড়েছে। পর্যটক শিন ইউন-মি বলছিলেন, ‘কোভিডের কারণে আমরা সমুদ্র পেরিয়ে কোথাও যাচ্ছি না। তাই দেশের মধ্যে আশপাশের এলাকায় ঘুরতে হচ্ছে। এর মধ্যে পার্পল আইল্যান্ডস অন্যতম।’