Thank you for trying Sticky AMP!!

পোড়া শিবিরের ৪০০ এতিম শিশুকে নেবে ১০ দেশ

গ্রিসের লেসবস দ্বীপে পুড়ে যাওয়া মোরিয়া শরণার্থী শিবিরের বাসিন্দারা খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন

গ্রিসের লেসবস দ্বীপে পুড়ে যাওয়া মোরিয়া শরণার্থীশিবিরের ৪০০ এতিম (অভিভাবকহীন) শিশুর দায়িত্ব নেবে ইউরোপের ১০ দেশ। এদের মধ্যে অধিকাংশকেই নেবে জার্মানি ও ফ্রান্স।


জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হোস্ট জিহুফা আজ শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন। তিনি বলেছেন, এই ৪০০ শিশুর মধ্যে জার্মান ও ফ্রান্স নেবে ১০০ থেকে দেড় শ করে; নেদারল্যান্ডস ৫০, ফিনল্যান্ড ১১ জনকে নেবে।

অবশিষ্ট শিশুদের নেবে সুইজারল্যান্ড, বেলজিয়াম, ক্রোয়েশিয়া, স্লোভেনিয়া, লুক্সেমবার্গ ও পর্তুগাল। এর আগে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল গ্রিসের প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করে এই শিশুদের নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন।


মোরিয়া শিবিরটি গত বুধবার অগ্নিকাণ্ডে সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। ১৩ হাজার শরণার্থী এখানে আশ্রয় পেয়েছিল। শরণার্থীরা গত কয়েক দিন ধরে পথে-ঘাটে খোলা আকাশের নিচে দিনাতিপাত করে আসছেন। গ্রিসের সবচেয়ে বড় এই শরণার্থীশিবিরে বিভিন্ন দেশের মানুষ রয়েছে, তবে এর ৭০ শতাংশই আফগানিস্তানের। এই শিবিরে ধারণার ক্ষমতার চেয়ে চারগুণ বেশি শরণার্থী ছিলেন।

৯ সেপ্টেম্বর আগুনে পুড়ে যায় গ্রিসের সবচেয়ে বড় মোরিয়া শরণার্থীশিবির

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, মোরিয়া শরণার্থীশিবির পরিদর্শন করেছেন ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্গারিটস শিনাস। তিনি একই স্থানে আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন শিবির স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছেন। গ্রিস সরকারও সেখানে স্থানীয় সংকট সমাধানে একটি প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে। কিন্তু সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা এই ঘোষণার বিরোধিতা করেছেন। তারা সেখানে কোনো শরণার্থীশিবির থাকতে দেবে না বলে পাল্টা ঘোষণা দিয়েছে। এমনকি অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটানো শরণার্থীদের কোনো ত্রাণও দিতে দিচ্ছে না তারা।

বিভিন্ন দাতব্য সংস্থার ত্রাণ বহর সেখানে যাতে না পৌঁছাতে পারে এ জন্য স্থানীয়রা সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। স্থানীয় পৌর প্রতিনিধি ভ্যাঙ্গেলিস ভায়োল্যাটিসিস বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, এলাকার ভালোর জন্য এখনই মোরিয়া বন্ধের উপযুক্ত সময়।

মোরিয়া অগ্নিকাণ্ডের পর ইউরোপে নতুন করে অভিবাসীদের বিষয়টি আলোচনা হচ্ছে। এ নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোটাকিস বলেন, অভিবাসী সমস্যা এখন পুরো ইউরোপের অন্যতম চ্যালেঞ্জ। এই সমস্যা সমাধানে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে কার্যকর উদ্যোগী হতে হবে।

মোরিয়া শরণার্থী শিবিরের বাসিন্দারা পথে ঘাটে দিনাদিপাত করছেন। তাদের কেউ কেউ আশ্রয় নিয়েছেন আশপাশের স্টেশন ও বিভিন্ন স্থাপনার খোলা জায়গায়

এদিকে কিছু দাতব্য সংস্থা ও এনজিও জার্মান সরকার বরাবর চিঠি লিখে বলেছেন, শুধু এই নাবালকদের ব্যাপারে উদ্যোগ নিলে চলবে না, অন্যান্য অভিবাসীদের ব্যাপারেও জার্মানের অনেক কিছু করার আছে।