Thank you for trying Sticky AMP!!

বাবার মন বলেছিল ছেলের কিছু হয়েছে

অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসে দুর্ঘটনার শিকার স্যামুয়েল লেইথব্রিজের গাড়ি

একেই বলে বাবার মন। কিশোর ছেলে বাড়ি ফেরেনি। ছটফট করতে লাগল বাবার মন-নির্ঘাত দুর্ঘটনা ঘটেছে। উতলা বাবা বিষয়টি কেবল পুলিশকেই জানালেন না, নিজেও খুঁজতে বের হলেন। হেলিকপ্টার নিয়ে খুঁজতে খুঁজতে পেয়ে যান দুর্ঘটনায় পড়া ছেলেকে। বাবার তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তই বাঁচিয়ে দিল সন্তানকে।

গত রোববার ঘটনাটি ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি শহরে। বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ১৭ বছরের স্যামুয়েল লেইথব্রিজের বন্ধুর বাসায় যাওয়ার কথা ছিল। সে উদ্দেশে বাসা থেকেও বের হয় স্যামুয়েল। তবে নিউ সাউথ ওয়েলস থেকে ৩০ মিনিট যাওয়ার পরই দুর্ঘটনায় পড়ে তার গাড়ি। দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া গাড়ির মধ্যে আটকে পড়ে থাকে স্যামুয়েল।

এদিকে সময় পার হলেও স্যামুয়েল সেখানে না যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েন মা-বাবা। একপর্যায়ে পুলিশকে বিষয়টি জানান তাঁরা। পুলিশ বিষয়টি আমলে নিয়ে খুঁজতে শুরু করে। পুলিশ এটাও মাথায় রাখছিল—কিশোর ছেলের হারিয়ে যাওয়ার কারণ দুর্ঘটনা নাও হতে পারে।

বাবা টনি লেইথব্রিজের মন ঠিকই আঁচ করেছিল বিপদ। তিনি নিশ্চিত ছিলেন, ছেলের কোনো বিপদ হয়েছে। কারণ ছেলের স্বভাব তো এমন নয় যে হঠাৎ হারিয়ে যাবে। সেই বিশ্বাস থেকেই হেলিকপ্টার ভাড়া করে নিজ উদ্যোগে সন্তানকে খুঁজতে থাকেন টনি লেইথব্রিজ। ১০ মিনিটের মধ্যে দেখতে পান রাস্তায় পড়ে রয়েছে স্যামুয়েলের গাড়ি। পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। উদ্ধারকারী পুলিশ প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে গাড়িয়ে ড্যাসবোর্ডের নিচে আটকে থাকা স্যামুয়েলকে উদ্ধার করে।

পরে টনি লেইথব্রিজ বলেন, ‘পাঁচ বছরের একটি ঘটনা মাথায় ঘুরছিল আমার। দুর্ঘটনায় পড়ে উদ্ধার না হওয়ায় মারা যান এক ব্যক্তি। পাঁচ দিন পর পাওয়া গিয়েছিল তাঁকে।’

তবে স্যামুয়েলের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত নয়। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় হাড় ভেঙেছে।

নিউ সাউথ ওয়েলসের অ্যাম্বুলেন্স ইন্সপেক্টর জেফ অ্যাটকিনস বলেন, ‘সে খুব ভাগ্যবান যে এমন এক দুর্ঘটনার পরও বেঁচে গেছে।’

পুলিশ জানায়, গাড়ি দুর্ঘটনার বিষয়ে তদন্ত চলছে।