Thank you for trying Sticky AMP!!

বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা ৪১ হাজার ছাড়াল, আক্রান্ত ৮ লাখেরও বেশি

যত দিন যাচ্ছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর মিছিল তত লম্বা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির তথ্য বলছে, বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত করোনা কেড়ে নিয়েছে ৪১ হাজার ২৬১ জনের প্রাণ। ১৮০টি দেশে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৮ লাখ ৩৮ হাজার ৬১ জন। 

গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনে ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাস তিন থেকে চার মাসেই গোটা বিশ্বে ভয়াবহ এই পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।

জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির তথ্য বলছে, এখন পর্যন্ত এই করোনায় আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৭৫ হাজার ৭৩৭ জন।

করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্রস্থল এখন ইউরোপ হলেও যুক্তরাষ্ট্র আক্রান্ত হওয়ার দিক দিয়ে সবার ওপরে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে ১ লাখ ৭৭ হাজার ৪৫২ জন। আর ইতালিতে এই সংখ্যা ১ লাখ ৫ হাজার ৭৯২। ইতালির পরেই ইউরোপের আরেক দেশ স্পেনের অবস্থান। দেশটি এখন পর্যন্ত মোট রোগী শনাক্ত হয়েছে ৯৪ হাজার ৪১৭ জন।


ইউরোপের এই দুই দেশেই করোনার আঘাত লেগেছে জোরেশোরে। ইতালিতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত মানুষের সংখ্যা। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছে ১২ হাজার ৪২৮ জন। অন্যদিকে, স্পেনে মৃত মানুষের সংখ্যা ৮ হাজার ২৬৯। স্পেনে শুধু আজই মারা গেছে রেকর্ড ৮৪৯ জন।

মৃত্যুর মিছিলে পিছিয়ে নেই ফ্রান্সও। ফ্রান্সে এখন পর্যন্ত মৃত মানুষের সংখ্যা ৩ হাজার ৫২৩। দেশটিতে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে ৫২ হাজার ৮১৯ জন। মৃত মানুষের সংখ্যায় সবার ওপরে ইতালি আর স্পেনের পরই ফ্রান্স। এই সংখ্যা চীনের চেয়েও বেশি।


চীনে এখন পর্যন্ত মৃত মানুষের সংখ্যা ৩ হাজার ১৮৭। এই ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল দেশটিতে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৮২ হাজার ২৭৮। এদিকে চীনকে সবদিক দিয়ে ছাড়িয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মৃত মানুষের সংখ্যা ৩ হাজার ৪১৫। যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে ২৫ হাজার ৪৭৪ জন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মৃত মানুষের সংখ্যা ১ হাজার ৭৮৯ জন। নেদারল্যান্ডসও মৃত মানুষের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়ে ঠেকেছে ১ হাজার ৩৯ জনে।

বাংলাদেশ সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) জানিয়েছে, মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশে মারা গেছেন ৫ জন, আক্রান্ত হয়েছেন ৫১ জন। সুস্থ হয়েছেন ২৫ জন।

এদিকে বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ১ হাজার ৩৯৭ জন। মারা গেছে ৩৫ জন। পাকিস্তানে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ১ হাজার ৯১৪, প্রাণহানি ঘটেছে ২৬ জনের। নেপাল, ভুটান ও মিয়ানমারেও এই ভাইরাস ছড়িয়েছে।