Thank you for trying Sticky AMP!!

মালালা এ দশকের গুরুত্বপূর্ণ তরুণী

জাতিসংঘের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল আমিনা মোহাম্মদের সঙ্গে মালালা। ছবি: টুইটার

নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাইয়ের সাফল্যের মুকুটে যুক্ত হলো নতুন পালক। তিনিই হলেন এই দশকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একজন তরুণী। জাতিসংঘ এক ঘোষণায় এ কথা জানিয়েছে।

বিশ্বের শরণার্থী সমস্যা, পাকিস্তানে নারীদের শিক্ষা, মানবাধিকারসহ নানা ইস্যুতে সরব থাকায় এ তকমা পেলেন মালালা।

জাতিসংঘ সম্প্রতি তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে, বিশ্বব্যাপী নারীশিক্ষা অধিকারের পক্ষে এই দশকে মালালা যেসব ভূমিকা নিয়েছেন, তাতে তাঁর ধারেকাছে আর কেউ নেই। তাঁর সেই কৃতিত্বকে সম্মান জানাল জাতিসংঘ। বিশ্বে নারীদের অধিকার, মানবাধিকার লঙ্ঘিত হলেই সোচ্চার মালালা।

পাকিস্তানে নারীশিক্ষা, মানবাধিকারসহ নানা ইস্যুতে সব সময় সরব মালালা। ছবি: টুইটার

কাশ্মীর সমস্যা, শরণার্থী সমস্যা কিংবা পাকিস্তানে নারীদের শিক্ষাসহ সব ইস্যুতেই মালালা সরব। কনিষ্ঠতম নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাই বন্দুকের নলের সামনে ছিলেন অকুতোভয়। মৃত্যুভয়কে উপেক্ষা করে ঘোষণা করেছিলেন, সোয়াতে পড়াশোনা চলবে। তাঁর সেই লড়াই আজও চলছে।

২০১২ সালের ৯ অক্টোবর ১৩ বছর বয়সে তালেবান জঙ্গিরা গুলি করে মালালার মাথায়। মালালার অপরাধ একটাই, নারী হয়ে স্কুলে গিয়েছিলেন মালালা। এরপর পাকিস্তান ও যুক্তরাজ্যর হাসপাতালে টানা ৪৯ দিন যুদ্ধ করেছেন জীবনের সঙ্গে। মৃত্যুকে হারিয়ে জীবনের ছন্দে ফিরেছিলেন মালালা। সবচেয়ে কম বয়সে নোবেল শান্তি পুরস্কার জিতেছিলেন মালালা।

জাতিসংঘ এই দশকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একজন তরুণী হিসেবে মালালাকে মনোনীত করেছে। ছবি: টুইটার

মালালার বয়স এখন ২২। ২০১৭ সালে জাতিসংঘ তাঁকে শান্তির দূত হিসেবে নিয়োগ করেছে। ‘বন্দুক নয়, কলমের জোর বেশি’, ‘শিশুর স্বার্থে শান্তি ফেরান’ মালালার ইত্যাদি কথা ছড়িয়ে পড়েছিল সবখানে। মালালার সেই লড়াইয়ের কাহিনি নিয়ে বলিউডে ছবি তৈরি হচ্ছে। আমজাদ খান পরিচালিত এই ছবির নাম ‘গুল মাকাই’। ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি ছবিটি মুক্তি পাবে। তথ্যসূত্র: টুইটার, এনডিটিভি, পাকিস্তান টুডে