Thank you for trying Sticky AMP!!

যুক্তরাজ্যে আশার আলো বাংলাদেশের রূপা

নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রূপা আশা হক। ছবি: প্রথম আলো

যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে লন্ডনের আলোচিত আসন ‘ইলিং সেন্ট্রাল অ্যান্ড অ্যাকটন’ এ লেবার দলের এমপি প্রার্থী হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রূপা আশা হক। গত নির্বাচনে কনজারভেটিভ দলের কাছে হারানো আসনটি ফিরে পেতে মরিয়া লেবার পার্টি। যে কারণে লেবার পার্টির পাশাপাশি দেশটিতে বসবাসকারী বাংলাদেশিরাও আশা করছেন রূপাকে নিয়ে।

আগামী ৭ মে যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচন হবে। এবার দেশটির প্রধান তিনটি দল থেকে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মোট ১২ জন এমপি পদে প্রার্থী হয়েছেন। এর মধ্যে লেবার দলের আটজন, লিবারেল ডেমোক্র্যাটস দলের তিনজন ও কনজারভেটিভ দলের একজন প্রার্থী হয়েছেন।

গত নির্বাচনে পরাজিত হওয়া লন্ডনের যে ১২টি আসন লেবার দল এবার ফিরে পেতে চায়, এরমধ্যে সবার শীর্ষে রূপা হকের ওই আসনটি। আবার লন্ডনের তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ১০টি আসনের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে এই আসন।
দলের অন্যতম একটি ‘টার্গেট সিটে’ প্রার্থী হওয়ার কারণে বাড়তি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে রূপাকে। গত শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অ্যাকটন টাউনে গিয়ে দেখা যায়, নির্বাচনী এলাকায় প্রচার চালাচ্ছেন রূপা। ফুটপাতে দাঁড়িয়ে প্রচারপত্র বিলি, ভোটারদের ঘরে ঘরে গিয়ে সাক্ষাৎ, সবই চলছে নিয়ম করে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক, টুইটারেও সমান ব্যস্ত রূপা। ফাঁক পেলেই প্রচারের এসব আলোকচিত্র ইন্টারনেটে দিচ্ছেন।

জয়ের ব্যাপারে কেমন আশাবাদী-জানতে চাইলে রূপা হক প্রথম আলোকে বলেন, শ্বেতাঙ্গ, কৃষ্ণাঙ্গ বা এশীয় সব সম্প্রদায়ের কাছ থেকে ভালো সাড়া মিলছে। রক্ষণশীল সরকারের ব্যয়-সংকোচন নীতির কারণে তাঁর নির্বাচনী এলাকায় দুটি স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যায়। আরও দুটি সেবাকেন্দ্র বন্ধের ঝুঁকিতে রয়েছে। এসব কারণে মানুষও বেশ ÿক্ষুদ্ধ। এ কারণে তিনি জয়ের ব্যাপারে বেশ আশাবাদী বলে জানান।

স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে মানুষের ক্ষোভে‌র প্রমাণ মেলে একটু পরেই। স্থানীয় একটি বাজারে স্বাস্থ্যসেবা রক্ষা করার দাবিতে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে প্রচার চালাচ্ছেন ৮-১০ জনের একটি দল। তাদের টেবিলের ওপর ময়লার ঝুড়িতে মধ্যে রাখা প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের একটি কুশ পুতুল। ওটার গায়ে লেখা ‘দ্য ডাস্টবিন অব হিস্ট্রি’।

লন্ডনের ইলিংয়ে জন্ম রূপার। সেখানেই তিনি বড় হয়েছেন। ওই এলাকার স্কুলে পড়েছেন। এখন পরিবার নিয়ে সেখানেই থাকছেন। রূপা বলেন, ইলিং সেন্ট্রাল অ্যান্ড অ্যাকটন তাঁর নিজের এলাকা। তাই এই এলাকার স্বাস্থ্যসেবা, হাউজিংসহ স্থানীয় সমস্যাগুলো তাঁর নিজেরও সমস্যা। নির্বাচিত হলে এসব সমস্যা সমাধান করবেন বলে তিনি ভোটারদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। কেমব্রিজ পড়ুয়া রূপা হক কিংস্টন ইউনিভার্সিটির শিক্ষক। তিনি ইলিং বারার ডেপুটি মেয়র ছিলেন।

রূপা হক বলেন, তাঁর মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়টি মোটেও সহজ ছিল না। দলের ছয়জন প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে লড়াই করে তাঁকে দলের টিকিট আদায় করতে হয়েছে। দলের স্থানীয় সদস্যদের অনুদান, স্থানীয় দাতা ও দলের কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে প্রাপ্ত অর্থেই চলছে তাঁর প্রচার কাজ।

ইলিং সেন্ট্রাল অ্যান্ড অ্যাকটন আসনে গতবার তিন হাজার ৭১৬ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হন রক্ষণশীল দলের এঞ্জি ব্রে। ওইবার ১৪ হাজার ২২৮ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছিল লেবার দল। এঞ্জি ব্রে এবারও আসনটিতে রক্ষণশীল দলের প্রার্থী হয়েছেন। লিবারেল ডেমোক্র্যাট দল থেকে লড়ছেন কাউন্সিলর জন বল।