Thank you for trying Sticky AMP!!

সম্প্রতি কাতারের দোহায় আফগান সরকারের সঙ্গে তালেবান নেতাদের আলোচনা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে চুক্তি ভাঙার অভিযোগ তালেবানের

আফগানিস্তানে তালেবানের ওপর গত সপ্তাহে বিমান হামলা চালানোর বিষয়ে গত রোববার আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। তবে এ হামলার মধ্য দিয়ে দেশটি তালেবানের সঙ্গে সম্পাদিত দোহা শান্তি চুক্তি ভেঙেছে বলে অভিযোগ করেছে তালেবান।

এ আত্মপক্ষ সমর্থন ও অভিযোগের আগে তালেবান আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ হেলমান্দের রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ নিতে বড় ধরনের হামলা চালায়। ওয়াশিংটন বলেছে, এ আক্রমণের পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবেই তারা আফগান সরকারি বাহিনীর সমর্থনে তালেবানের ওপর ওই বিমান হামলা চালিয়েছে।

দোহায় যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানের মধ্যে সই হওয়া ওই চুক্তি অনুযায়ী, আফগানিস্তানে নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার নিশ্চয়তা দেবে তালেবান। পাশাপাশি দেশটিতে কয়েক দশক ধরে চলা যুদ্ধের অবসানে একটি শান্তিপূর্ণ সমঝোতার পথ খুঁজে পেতে আফগান সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসবে তারা। বিনিময়ে দেশটি থেকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী চলে যাবে।

তালেবানের মুখপাত্র মোহাম্মদ ইউসুফ আহমাদি এক বিবৃতিতে বলেন, হেলমান্দে তাঁদের অভিযানের ঘটনায় মার্কিন বাহিনী মাত্রাতিরিক্ত বিমান হামলা চালিয়ে নানাভাবে দোহা চুক্তি লঙ্ঘন করেছে।

দোহায় যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানের মধ্যে সই হওয়া ওই চুক্তি অনুযায়ী, আফগানিস্তানে নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার নিশ্চয়তা দেবে তালেবান। পাশাপাশি দেশটিতে কয়েক দশক ধরে চলা যুদ্ধের অবসানে একটি শান্তিপূর্ণ সমঝোতার পথ খুঁজে পেতে আফগান সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসবে তারা। বিনিময়ে দেশটি থেকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী চলে যাবে।

তালেবানের অভিযোগের জবাবে মার্কিন বাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল সোনি লেগেট বিমান হামলার মাধ্যমে দোহা চুক্তি লঙ্ঘন করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এক টুইটে তিনি বলেন, ‘গোটা বিশ্ব দেখেছে, হেলমান্দে তালেবানের অভিযানে অনেকে আহত হয়েছেন, বাস্তুচ্যুত হয়েছেন হাজারো আফগান।’

এদিকে গত সপ্তাহে দোহায় তালেবানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত জালমে খলিলজাদ বলেন, দোহা চুক্তির পর এখনো আফগানিস্তানে সহিংসতা অনেক বেশি।