Thank you for trying Sticky AMP!!

যৌন নির্যাতনের বিষয়ে কথা বলতে বিশপদের প্রতি সমন জারি করলেন পোপ ফ্রান্সিস

পোপ ফ্রান্সিস। ছবি: এএফপি

চার্চে যৌন নির্যাতনের বিষয়ে কথা বলতে বিশপদের প্রতি সমন জারি করেছেন ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস। আসছে ২১ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যাটিকানে ক্যাথলিক বিশপ সম্মেলনে এ বিষয়ে আলোচনা হবে বলে ভ্যাটিকানের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়।

ফ্রান্সিসের প্রধান উপদেষ্টা (কার্ডিনাল) জানিয়েছেন, পোপ বুধবার বিশপদের প্রতি এ সমন জারি করেন।

ইউএসটুডের প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল মাসখানেক আগে একটি তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। ওই প্রতিবেদনে পেনসিলভানিয়ার ৩০০ জন যাজকের বিরুদ্ধে এক হাজারের বেশি শিশুকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়। সিএনএনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অ্যাটর্নি জেনারেলের ওই গ্র্যান্ড জুরি প্রতিবেদনটি ৯০০ পৃষ্ঠার। এতে বলা হয়, ১৯৪৭ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত পেনসিলভানিয়ায় বিশপদের ছয়টি এলাকায় যৌন নির্যাতনের এসব ঘটনা ঘটে। ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়, চার্চগুলো বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে অথচ তারা নিজস্ব লালসায় বেশি মনোযোগী। নির্যাতনের শিকার বেশির ভাগ শিশুই ছেলে। পড়ে তাদের অধিকাংশই মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

গ্র্যান্ড জুরির ওই প্রতিবেদনে আরও বলা, যৌন নির্যাতনের শিকার শিশুদের সংখ্যা এক হাজারের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এই সংখ্যা কয়েক হাজার। কিন্তু অনেক শিশুই নির্যাতনের পর আর এসব মুখ খুলে বলতে চায়নি।

সিএনএনের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, যৌন নির্যাতনের বিষয়ে গত ৩০ আগস্ট ক্যাথলিক উইমেনস ফোরাম আরেকটি খোলা চিঠি প্রকাশ করে। ওই চিঠিতে মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে ৪৪ হাজার স্বাক্ষর পড়ে, যাতে পোপের প্রতি বলা হয়, ‘আপনি চার্চগুলোতে নারীদের উপস্থিতি বাড়াতে বলছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় সেখানে যৌন নির্যাতনের মতো ঘটনাগুলো ঘটে চলছে। আমরা থিয়োডর ম্যাখিউরিকের বিচারও পাইনি।’

থিয়োডর ম্যাখিউরিকের হলেন ওয়াশিংটনের সাবেক আর্চবিশপ, যিনি পোপ ফ্রান্সিসের আমলে কার্ডিনাল মনোনীত হয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর ব্যাপারের যৌন নির্যাতনের জোর অভিযোগ আনা হয়। এসব অভিযোগকারীর মধ্যে ভ্যাটিকানে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক দূত ভিগানোও ছিলেন। কিন্তু ম্যাখিউরিক তাঁর বিরুদ্ধে আনা ২০১৩ সালের ওই অভিযোগ বরাবরই অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে যৌন নির্যাতনের এই অভিযোগ মাথায় নিয়ে তাঁকে চলতি বছরের জুলাই মাসে কার্ডিনাল পদ থেকে সড়ে দাঁড়াতে হয়েছে।

ইউএসটুডের প্রতিবেদনে বলা হয়, যৌন নির্যাতনের এই অভিযোগ শুধু পেনসিলভানিয়া যাজকদের বিরুদ্ধেই ওঠেনি। একই অভিযোগ জার্মানি, আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, আয়ারল্যান্ড ও চিলিসহ বিভিন্ন দেশের যাজকের বিরুদ্ধে উঠেছে।