Thank you for trying Sticky AMP!!

লকডাউন শিথিলে যেসব দেশে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ

করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কিছুটা কমায় লকডাউন অথবা বিধিনিষেধ শিথিল করে চীন, দক্ষিণ কোরিয়া ও জার্মানি। এর ফলে দেশগুলোতে নতুন করে সংক্রমণের হার বেড়েছে। বিধিনিষেধের শর্ত শিথিল করায় ইউরোপের অন্যান্য দেশেও দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণ দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে করোনাভাইরাসে গুচ্ছ (ক্লাস্টার) সংক্রমণ ধরা পড়ে। এতে দেশটিতে দ্বিতীয়বারের মতো সংক্রমণের ঢেউ শুরু হতে পারে বলে শঙ্কা তৈরি হয়। এই অবস্থায় গত রোববার দেশটির প্রেসিডেন্ট মুন জে ইন সতর্ক করে বলেন, এটা (করোনা) শেষ না হওয়া পর্যন্ত শেষ বলা যাবে না।

চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে গত বছরের ডিসেম্বরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়। এরপর সেই মহামারি ছড়িয়ে পড়ে পুরো বিশ্বে। প্রথম দিকে যেসব দেশে এই মহামারি ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ে, সেগুলোর মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া একটি। কিন্তু ব্যাপক বিধিনিষেধ আরোপ করে মহামারি ঠেকাতে দারুণ সফল দক্ষিণ কোরিয়া। মহামারি প্রতিরোধে দেশটির মডেল সারা বিশ্বের বহুল প্রশংসিতও। কিন্তু সম্প্রতি সামাজিক দূরত্ব মেনে চলাসহ কিছু শর্ত রেখে বিধিনিষেধ শিথিল করে দেশটি। এখন দেশটিতে নতুন করে ক্লাস্টার সংক্রমণ ধরা পড়ায় মুন জনগণকে সতর্ক করেন, মহামারি প্রতিরোধের ক্ষেত্রে সুরক্ষার বিষয়ে কোনোভাবেই গড়িমসি করা যাবে না।

>

দক্ষিণ কোরিয়া ও চীন বলেছে, প্রতিরোধব্যবস্থা শিথিলের সময় এখনো আসেনি।

চীন সংক্রমণ একেবারে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছিল। কিন্তু গত সোমবার দেশটিতে নতুন করে ১৭ জন সংক্রমিত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। এর মধ্যে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্র উহান শহরে পাঁচজন সংক্রমিত হন। উহানে নতুন ক্লাস্টার সংক্রমণের বিষয়ে সতর্ক রয়েছে কর্তৃপক্ষ। সেখানে নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপের কথা ভাবা হচ্ছে। আর রাশিয়ার সীমান্তবর্তী জিলিন প্রদেশের শুলান শহরে নতুন করে ১১ জন করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় শহরটি লকডাউন করা হয়েছে।

আলজাজিরার খবরে বলা হয়েছে, সোমবার চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের মুখপাত্র মি ফেং বলেন, স্থানীয় ক্লাস্টার সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় এটাই প্রতীয়মান হয়েছে, প্রতিরোধব্যবস্থা শিথিলের সময় এখনো আসেনি।

মহাদেশ হিসেবে মহামারির সবচেয়ে খারাপ অবস্থার সৃষ্টি হয় ইউরোপে। তবে অন্য দেশের তুলনায় জার্মানি বেশ ভালোভাবে এটা মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়। তবে সংক্রমণ কমে আসায় দেশটি শিথিল করতে শুরু করে বিধিনিষেধের শর্ত। এর ফলে বেড়েছে সংক্রমণ। সোমবার জার্মানির রোগনিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠান রবার্ট কচ ইনস্টিটিউট বলেছে, গত দুই দিনে নতুন করে সংক্রমণের লেখচিত্র ঊর্ধ্বমুখী।