Thank you for trying Sticky AMP!!

শিশুরা পরে, আগে গরিব দেশে টিকা দিন: ডব্লিউএইচও

সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি ভবন

শিশু-কিশোরদের টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা পিছিয়ে দিতে সম্পদশালী দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস। তিনি বলেন, আগে গরিব দেশগুলোতে টিকা সরবরাহ করা উচিত। খবর বিবিসির।

স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার গেব্রেয়াসুস আরও বেশি টিকা সরবরাহের জন্য ধনী দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।

গত ডিসেম্বরে করোনার টিকা প্রথম অনুমোদন পায়। সম্পদশালী দেশগুলো টিকার বেশির ভাগ সরবরাহ মজুত করেছে। বিভিন্ন দেশের মধ্যে জনসাধারণকে টিকা দেওয়ার জন্য প্রতিযোগিতা চলছে।

গতকাল জেনেভায় ভার্চ্যুয়াল সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদরোস বলেন, তিনি বুঝতে পারছেন কেন কিছু দেশ শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের টিকা দিতে চাইছে। তবে তিনি বলেন, এখন তাদের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা দরকার।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদরোস আরও বলেন, নিম্ন ও নিম্নমধ্যম আয়ের দেশগুলোতে স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকা দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত টিকা মজুত নেই। হাসপাতালগুলোতেও স্বাস্থ্যসুরক্ষা সরঞ্জামের অভাব রয়েছে।

গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, যত দ্রুত সম্ভব ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সীদের দেশটির সরকার টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আগামী ৪ জুলাইয়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাপ্তবয়স্কদের ৭০ শতাংশ কমপক্ষে করোনার এক ডোজ টিকা পাবেন।

কানাডায় ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সীদের ফাইজারের টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অ্যালবার্টা প্রদেশে টিকা প্রদানের হার সবচেয়ে বেশি। ১২ বছরের বেশি বয়সীদের টিকা দেওয়ার প্রস্তাব করা হচ্ছে দেশটিতে।

সুইজারল্যান্ডের কয়েকটি জায়গায় গত সপ্তাহে ১৬ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনে টিকা দেওয়ার হার সর্বোচ্চ। টিকা দেওয়ার হার অনুসারে ভারত রয়েছে তৃতীয় অবস্থানে।

কোভ্যাক্সের লক্ষ্য হলো এর অন্তর্ভুক্ত ৯২টি গরিব দেশে প্রথম ধাপে ২০ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আনা।
গতকালের ওই সংবাদ সম্মেলনে তেদরোস সতর্কতা জারি করে বলেন, মহামারির দ্বিতীয় বছর প্রথম বছরের তুলনায় বেশি মারাত্মক হতে পারে। এর মধ্যে ভারতের পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক বলে জানান তিনি।

ভারতে অনেক স্বাস্থ্যকর্মী এখনো টিকা পাননি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রার কারণে নিম্ন আয়ের দেশগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে।