Thank you for trying Sticky AMP!!

সাগরে যেভাবে মারাত্মক দূষণ

কাপড় পরিষ্কার করলে পানিতে ফাইবার দূষণ ঘটে। ছবি: রয়টার্স

মেরু বরফের চূড়া থেকে শুরু করে মারিয়ানা ট্রেঞ্চের ১০ কিলোমিটার গভীর পর্যন্ত ওয়াশিং মেশিন থেকে বের হওয়া সিনথেটিক মাইক্রোফাইবার দূষণ ছড়িয়ে পড়ছে। গত বছর থেকে একক ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক, বোতল, স্ট্র, কান পরিষ্কারের কাঠির মতো ছুড়ে ফেলা জিনিসগুলোর বিরুদ্ধে মানুষ জেগে উঠেছে। এতে বিশ্বের কয়েকটি দেশে এসব বস্তুর ব্যবহার বন্ধ বা সীমিত করার বিষয়ে আইন করা হয়েছে। এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

দৃশ্যমান অনেক আবর্জনা সমুদ্রে সহজে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে থাকতে দেখা যায়, যা জায়েস নামে একটি ভাসমান দ্বীপে জমা হয়। কচ্ছপ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সামুদ্রিক প্রাণীর জন্য ফাঁদ তৈরি করে।

বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, সমুদ্রদূষণের একটি মূল উৎস পলিয়েস্টার, নাইল ও অ্যাক্রেলিকের ক্ষুদ্র কণাগুলো এখন অবধি বেশির ভাগেরই নজরে নেই।

যুক্তরাজ্যের পলিমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ইমোজেন ন্যাপার বলেন, অধিকাংশ মানুষ এখনো বুঝতে পারছেন না যে আমাদের বেশির ভাগ পোশাক প্লাস্টিক দিয়েই তৈরি। আমরা নিয়মিত আমাদের পোশাক পরিষ্কার করি এবং প্রতিবার কাপড় ধোয়ার পর লাখ লাখ পোশাকের ক্ষুদ্র আঁশ বের হয়। এটি পরিবেশে প্লাস্টিকের দূষণের অন্যতম প্রধান উৎস হতে পারে।

গবেষকেরা বলেন, প্রশ্ন হচ্ছে, এত ক্ষুদ্র ফাইবার আমরা কীভাবে দূর করব? এ ক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব যন্ত্র উদ্ভাবন, পোশাক উৎপাদনকারী, ওয়াশিং ও ট্রিটমেন্ট প্ল্যাটগুলোকে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। ২০১৫ সালে এলেন ম্যাকআর্থার ফাউন্ডেশনের এক প্রতিবেদনে পূর্বাভাস দেওয়া হয়, প্রতিবছর অন্তত ৫ লাখ টনের বেশি মাইক্রোফাইবার পানিতে মেশে। প্রতিবছর ৫ কোটি ৩০ লাখ টন নতুন টেক্সটাইল উৎপন্ন হয়।

ওশান ওয়াইজ অর্গানাইজেশনের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার প্রতিটি পরিবার গড়ে প্রতিবছর ৫০ কোটির বেশি মাইক্রোফাইবার পরিবেশে ছাড়ে।