Thank you for trying Sticky AMP!!

সাবেক ফরাসি প্রেসিডেন্ট সারকোজির তিন বছর কারাদণ্ড

আদালত থেকে বেরিয়ে যচ্ছেন ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি (মাঝে)। ছবি: এএফপি


ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজিকে তিন বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির রাজধানী প্যারিসের একটি আদালত। দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আজ সোমবার আদালত এ রায় দেন। খবর এএফপির।
 
ফ্রান্সের ২০০৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন সারকোজি। এ সময় তিনি এক বিচারককে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছিলেন। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ৬৬ বছর বয়সী সারকোজি ওই বিচারককে ঘুষ হিসেবে মোনাকোয় একটি ভালো চাকরির সুযোগ দিতে চেয়েছিলেন। আর এর বিনিময়ে তাঁর দল সম্পর্কিত চলমান অপরাধ তদন্তের তথ্য চেয়েছিলেন তিনি। এ মামলায় সেই বিচারক গিলবার্ট অ্যাজিবার্ট এবং সারকোজির আইনজীবী থিয়েরি হার্জোগেরও একই সাজা হয়েছে।


এদিকে সারকোজির তিন বছর কারাদণ্ডের মধ্যে দুই বছর স্থগিত করা হয়েছে। এ ছাড়া প্যারিসের আদালত রায় দিলেও সারকোজির বিরুদ্ধে কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়নি। বিচারক বলেছেন, সারকোজির যে সাজা হয়েছে, তা তিনি বাসা থেকেই খাটতে পারবেন ইলেকট্রনিক ট্যাগ ব্যবহার করে। নজরদারির জন্য এই ইলেকট্রনিক ট্যাগ ব্যবহার করা হয়। ওই বিচারক আরও বলেন, সারকোজি জানতেন, তিনি অপরাধ করেছেন। তার এ অপরাধ পেশাদারত্বের গোপনীয়তা লঙ্ঘনের শামিল।

এ কারাদণ্ডের মধ্য দিয়ে সারকোজির রাজনৈতিক জীবন নতুন মোড় নিল। কারণ, এর মধ্য দিয়ে আবারও ফ্রান্সের রাজনীতিতে সামনে আসার সম্ভাবনা কমে গেল তাঁর। যদিও তাঁর অনেক সমর্থকই মনে করেন, তিনি ঠিক পথেই রয়েছেন। সূত্র বলেছে, এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন সারকোজি।


সারকোজির আগে ফ্রান্সের আরেক প্রেসিডেন্ট বিচারের সম্মুখীন হয়েছিলেন। তিনি জ্যাক শিরাক। সারকোজির রাজনৈতিক গুরু ছিলেন শিরাক। ক্ষমতা ছাড়ার পর দুর্নীতির অভিযোগে তাঁর বিচার শুরু হয়েছিল। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে ২০১১ সালে তাঁকে সেই মামলার শুনানিতে অংশ নিতে হয়নি। পরে অবশ্য শিরাকের দুই বছর কারাদণ্ড হয়েছিল। তবে সেই কারাদণ্ড ছিল স্থগিত সাজা।