Thank you for trying Sticky AMP!!

হনুমান যখন কম্পিউটার চালায়

কম্পিউটার চালাচ্ছে হনুমান

বানর বা হনুমানের খুনসুটি বা দুষ্টুমির কথা কার না জানা? মানুষের সঙ্গে অনেক কাজকর্মেই মিল এ প্রাণীদের। এবার জানা গেল হনুমানের আরেক প্রতিভার কথা। এই প্রাণী কম্পিউটার চালাতে পারে! না, এটা কোনো বৈজ্ঞানিক গবেষণা তথ্যের কথা বলা হচ্ছে না। বলা হচ্ছে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া একটি দৃশ্যের কথা।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা যায়, নথিপত্রে ভরা একটি কক্ষের চেয়ারে বসে দিব্যি কম্পিউটারের কি-বোর্ড টিপছে একটি হনুমান। কম্পিউটারটি চালু অবস্থায় রয়েছে। এটির মনিটরে সারি সারি লেখা। প্রথম দেখায় মনে হয়, ওই লেখাগুলো হনুমানেরই টাইপ করা।

২০ সেকেন্ডের ওই ভিডিও পোস্ট করে একজন বাংলায় ক্যাপশন দিয়েছেন। তাতে লেখা, ‘বোলপুর রেলস্টেশন এনকয়ারিতে ডিউটিতে হনুমান’। ক্যাপশনের এই কথাগুলো একজনকে ভিডিওতে বলতে শোনা যায়। বোলপুর ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত। তবে এনডিটিভির পক্ষ থেকে ঘটনাটি বোলপুরেই ঘটেছে কি না, তা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

ওই ভিডিওতে দেখা যায়, কি-বোর্ডের বাঁ পাশে টেবিলের ওপর পাতা উল্টানো একটি বাইন্ডিং খাতা রাখা। একটু পর পর এর একটি পাতা উল্টে যাচ্ছে যাচ্ছে ভাব। আর হনুমানটি সেদিকে একটু তাকাচ্ছে আর কি-বোর্ড টিপছে। ভাবটা এমন যে অফিসের কর্তা ব্যক্তি জটিল সব তথ্য অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে কম্পিউটারে নথিভুক্ত করছেন অথবা আনাড়ি কোনো ব্যক্তি, যিনি কি-বোর্ডের মাধ্যমে টাইপ করা শিখছেন।

টাইপ করার জন্য যে পাতা উল্টাচ্ছিল, তা কিন্তু হনুমানের কাজ নয়। একটু পরখ করলে বোঝা যায়, পাতা আপনা-আপনি উল্টাচ্ছে। অর্থাৎ বৈদ্যুতিক পাখার বাতাসে এমনটি হচ্ছে। ভিডিওতে দেখা যায়, হনুমানের ওই দৃশ্য দেখতে কক্ষের বাইরে অনেক মানুষ ভিড় করেছেন। তাঁরা হনুমানের এমন কাণ্ডে খুব উচ্ছ্বসিত।

ওই ভিডিওর নিচে অনেকেই মন্তব্য করেছেন। এর মধ্যে একজন লিখেছেন, ‘এ তো দেখি নতুন রিকুইপমেন্ট স্টেশনমাস্টার।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘বাহ, দক্ষ ও প্রযুক্তিবান্ধব হনুমান।’ তৃতীয় একজন লিখেছেন, ‘এর দ্বারাই প্রমাণিত হয়, তারা আমাদের পূর্বপুরুষ।’

তবে বানরজাতীয় প্রাণীর ডিজিটাল গ্যাজেট নিয়ে খুনসুটির ঘটনা এটাই প্রথম নয়। বিশেষ করে এর আগে মুঠোফোনে বানরের ভিডিও দেখার দৃশ্য ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে আনন্দ ভাগাভাগি করেছে।