Thank you for trying Sticky AMP!!

তাইগ্রে থেকে সুদানে পালিয়ে গেছে এ রকম হাজারো শিশু

ইথিওপিয়ায় ২৩ লাখ শিশু ত্রাণসহায়তা থেকে বঞ্চিত: জাতিসংঘ

ইথিওপিয়ায় সহিংসতা চলতে থাকার প্রেক্ষাপটে উত্তরাঞ্চলীয় তাইগ্রেতে প্রায় ২৩ লাখ শিশু মানবিক সহায়তা থেকে বঞ্চিত হয়ে আছে বলে সতর্ক করে দিয়েছে জাতিসংঘ। খবর বিবিসির।

জাতিসংঘ শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ বলেছে, এসব শিশুর অনেকে শরণার্থী। সহিংসতার মুখে বাস্তুচ্যুত হয়েছে এরা। তাদের সুরক্ষা দেওয়ার বিষয়টিকে অবশ্যই অগ্রাধিকার দিতে হবে।

মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে যুক্ত বিভিন্ন সংস্থা বলেছে, ত্রাণসহায়তা দেওয়ার বিষয়ে ইথিওপিয়ার সরকারের সঙ্গে চুক্তি করার পরও তাইগ্রেতে তাদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।

লড়াইয়ে শত শত, এমনকি কয়েক হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হয়ে থাকে। তা ছাড়া প্রতিবেশী সুদানে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় অর্ধলাখ মানুষ।

ইথিওপিয়ার সরকারি বাহিনী গত ৪ নভেম্বর থেকে তাইগ্রের স্থানীয় যোদ্ধাদের সঙ্গে লড়াই করছে। সরকারের দাবি, তারা বর্তমানে এ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ করছে ও লড়াই থেমে গেছে। তবে তাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট (টিপিএলএফ) বলেছে, বিভিন্ন যুদ্ধক্ষেত্রে লড়াই করছে তারা।

লড়াইয়ে শত শত, এমনকি কয়েক হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হয়ে থাকে। তা ছাড়া প্রতিবেশী সুদানে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় অর্ধলাখ মানুষ।

ইউনিসেফ এক বিবৃতিতে বলেছে, তাইগ্রের শরণার্থী শিশুদের কাছে যাওয়ায় দীর্ঘ বিলম্ব ঘটলে তাদের অবস্থা আরও খারাপ হবে। কেননা তাদের খাবার, অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের বিশেষ খাবার, ওষুধ, পানি, জ্বালানি ও অন্যান্য অপরিহার্য সামগ্রীর সরবরাহ ফুরিয়ে আসছে। সংস্থাটি বলেছে, এই শরণার্থীদের প্রত্যেকের পরিবার তা যেখানেই থাকুক না কেন, তাদের জরুরি, দীর্ঘমেয়াদি, শর্তহীন ও পক্ষপাতহীন মানবিক সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানাচ্ছে তারা।

তবে এ বিষয়ে ইথিওপিয়া সরকার বা টিপিএলএফ কারও বক্তব্য জানা যায়নি। তাইগ্রের এই আঞ্চলিক দলের বিরুদ্ধে গত নভেম্বরে সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ। এরপর থেকে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাত বেড়ে গেছে। তিনি বলেন, তাইগ্রের একটি সামরিক ঘাঁটির ওপর হামলার জবাবেই ওই অভিযান চালাতে বলা হয়েছে।

ওই অঞ্চলের প্রধান রাজনৈতিক দল টিপিএলএফের নেতাদের সঙ্গে কয়েক মাস ধরে আবি সরকারের দ্বন্দ্ব–বিবাদ চলার পর পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। প্রায় তিন দশক ধরে তাইগ্রেতে ক্ষমতার কেন্দ্রে রয়েছে দলটি। কিন্তু সরকারবিরোধী বিক্ষোভের জেরে ২০১৮ সালে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে আবি সরকার দলটিকে কোণঠাসা করে রেখেছে।