Thank you for trying Sticky AMP!!

ঘাস রক্ষায় সাগরতলে প্রতিবাদ

সাগরতলে শামা সানদুইয়ার প্রতিবাদ কর্মসূচি।

সামুদ্রিক ঘাস রক্ষার দাবিতে সাগরতলে প্রতিবাদ করেছেন মৌরিতানিয়ার এক নারী সমুদ্রবিজ্ঞানী। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিশ্বজুড়ে চলমান আন্দোলন জোরদার করতেই তিনি প্রতিবাদের এ অভিনব কৌশল বেছে নিয়েছেন।

ভারত মহাসাগরের পশ্চিমাঞ্চলে আফ্রিকার উত্তর–পশ্চিমাঞ্চলীয় দেশ মৌরিতানিয়া। দেশটির সায়া দে মালহা ব্যাংক উপকূলে সাগরতলে বিস্তৃত এলাকাজুড়ে সামুদ্রিক ঘাসকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা বাস্তুসংস্থান সংরক্ষণ জরুরি হয়ে পড়েছে। ওই এলাকার ওপর হাজারো সামুদ্রিক প্রাণী খাদ্য ও বসতির জন্য নির্ভরশীল। এ ছাড়া এলাকাটি বিপুল পরিমাণ কার্বন ডাই–অক্সাইড গ্যাস শোষণ করে। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য এ গ্যাসের ভূমিকা অন্যতম। কিন্তু খনন, সমুদ্রের গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধিসহ নানা কারণে বিশ্ব প্রতিবছর প্রায় ৭ শতাংশ হারে সাগরতলের ঘাস হারাচ্ছে।

এ পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে সাগরতলে প্রতিবাদ জানান মৌরিতানিয়ার শামা সানদুইয়া নামের ২৪ বছর বয়সী ওই সমুদ্রবিজ্ঞানী। তিনি মাসকারিন মালভূমির নিমজ্জিত অংশ সায়া দে মালহা ব্যাংক প্রবাল প্রাচীরে পানির নিচে প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রতিবাদী কর্মসূচি পালন করেন। ওই প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘ইয়ুথ স্ট্রাইক ফর ক্লাইমেট’। তিনি বিশ্বের বৃহত্তম সিগ্রাস বা সাগরতলের ঘাস রক্ষার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরতে এ কর্মসূচি পালন করেন।

শামা ও তাঁর সহযোগীরা ২০৩০ সাল নাগাদ পৃথিবীর জল ও স্থলভাগের ৩০ শতাংশ অঞ্চল সুরক্ষিত এলাকা হিসেবে গড়ে তুলতে জাতিসংঘের লক্ষ্য অর্জনে সচেতনতা সৃষ্টি করতে চাইছেন। বিজ্ঞানীদের মতে, এ পরিমাণ স্থল ও জলভাগ সুরক্ষিত এলাকা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা গেলে জলবায়ু পরিবর্তন ও জীববৈচিত্র্য বিনষ্ট হওয়া প্রতিরোধ করা সম্ভব।

শামার প্রত্যাশা, তাঁর এ প্রতিবাদী কর্মসূচি জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে আরও আগ্রাসী বৈশ্বিক পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষেত্রে সহায়তা করবে। তিনি বলেন, ‘সাগরে এমন অনেক প্রাণী আছে, যার সম্পর্কে আমরা আজও জানতে পারিনি। মানুষের নেওয়া সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপের কারণে সামুদ্রিক প্রাণীগুলোর ভোগান্তি হওয়া উচিত নয়।’