Thank you for trying Sticky AMP!!

জিম্বাবুয়েতে স্কুলের বেতনের বদলে ছাগল-ভেড়া!

.

জিম্বাবুয়ের স্কুলগুলোতে নগদ অর্থের পরিবর্তে শিক্ষার্থীদের বেতন হিসেবে গবাদিপশু অর্থাৎ ছাগল ও ভেড়া গ্রহণ করা হবে। সরকারের শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেছেন। দেশটির কিছু কিছু স্কুলে ইতিমধ্যে তা নেওয়ায় শুরু হয়েছে। ব্যাংকের জামানত হিসেবে গবাদিপশু নেওয়ার সিদ্ধান্তের পর দেশটি এমন সিদ্ধান্ত নিল। তবে, এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সমালোচনাও করছেন অনেকে।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, যে মা-বাবার অর্থ দেওয়ার ক্ষমতা নেই, তাঁরা এ সুযোগ পাবেন। সরকারপন্থী পত্রিকা সানডে মেইল পত্রিকাকে দেশটির শিক্ষামন্ত্রী লাজারুস ডোকোরা বলেছেন, মা-বাবাদের কাছ থেকে স্কুলের বেতন আদায়ের সময় স্কুলগুলোকে নমনীয় হতে হবে। তারা শুধু গবাদিপশুই নয়, বেতনের বিকল্প হিসেবে নানা ধরনের সেবাও গ্রহণ করবে। নানান ধরনের সেবার উদাহরণ দিতে গিয়ে মন্ত্রী ডোকোরা বলেন, ‘কেউ যদি রাজমিস্ত্রি হন, তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ওই ব্যক্তিকে দিয়ে রাজমিস্ত্রির কাজ করিয়ে নিতে পারে।’

সানডে মেইলের খবরে বলা হয়েছে, ইতিমধ্যেই কিছু কিছু স্কুলে নগদ অর্থের পরিবর্তে গবাদিপশু নেওয়ার চল শুরু হয়েছে।

মন্ত্রী ডোকোরার মন্তব্যের সপক্ষে যুক্তি তুলে ধরে ওই মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘সন্তানের মা-বাবা গবাদিসম্পদের মাধ্যমে স্কুলের ফি পরিশোধ করতে পারবেন। এটি বেশির ভাগই ক্ষেত্রে গ্রামীণ এলাকার জন্যই প্রযোজ্য। তবে, নগর ও শহরের মা-বাবারা অন্যান্য উপায়ে অর্থ প্রদান করতে পারবেন। উদাহরণস্বরূপ, স্কুলে নির্দিষ্ট কাজ করার জন্যই এটা করা হয়েছে।’

.

এ পদক্ষেপ এমন একসময়ে নেওয়া হলো, যখন গত সপ্তাহ থেকে জিম্বাবুয়ের ব্যাংকগুলো গবাদিপশু অর্থাৎ গরু, ছাগল, ভেড়াকে জামানত হিসেবে গ্রহণ করতে শুরু করেছে। গত সপ্তাহে দেশটির সংসদে একটি আইন পাস হয়েছে, যাতে বলা হয়েছে, মোটরগাড়ি বা যন্ত্রপাতির মতো অস্থাবর সম্পত্তিকে ব্যাংকে জামানত হিসেবে রাখা যাবে।
বুলাওয়েটিয়োন্টিফোর নামের একটি নিউজ পোর্টালের খবরে বলা হয়েছে, জিম্বাবুয়েতে নগদ অর্থের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। আর এ সংকটের কারণে ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে মানুষকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। সরকারের অভিযোগ, এক শ্রেণির মানুষ দেশ থেকে বাইরে অর্থ পাচার করছে বলেই এমন সমস্যা তৈরি হয়েছে। কিন্তু সমালোচকদের বরাত দিয়ে বুলাওয়েটিয়োন্টিফোর খবরে বলা বলছে, বিনিয়োগের অভাব এবং ক্রমবর্ধমান হারে বেড়ে যাওয়া বেকারত্বই এ পরিস্থিতির জন্য দায়ী।
তবে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটে গবাদিপশুর মাধ্যমে স্কুলের বেতন দেওয়ার এ পন্থার সমালোচনা শুরু করেছেন অনেকে।