Thank you for trying Sticky AMP!!

তাইগ্রেতে শত শত ইথিওপীয়কে হত্যা করেছে ইরিত্রীয় সেনারা: অ্যামনেস্টি

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল

ইথিওপিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় তাইগ্রে সীমান্তে লড়াইরত ইরিত্রীয় সেনারা গত বছর শত শত ইথিওপীয়কে হত্যা করেছে। এটি মানবতাবিরোধী অপরাধ হতে পারে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল আজ শুক্রবার এ কথা বলেছে।

বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়, ইরিত্রীয় বাহিনীর এই গণহত্যা নিয়ে এক নতুন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। তাতে বলা হয়, তাইগ্রে অঞ্চলের প্রাচীন শহর অ্যাক্সামে গত নভেম্বর মাসে ওই নিষ্ঠুরতা চালানো হয়। রক্তাক্ত সেই সহিংসতার কবল থেকে বেঁচে যাওয়া মানুষের সঙ্গে কথা বলেছে মানবাধিকার সংস্থাটি। সহিংসতার ঘটনাগুলো নিয়ে প্রতিবেদন তৈরিতে সংস্থাটি স্যাটেলাইটের ছবিও ব্যবহার করেছে।

অ্যামনেস্টির কর্মকর্তা ডিপ্রোস মুচেনা বলেন, সংগৃহীত তথ্যপ্রমাণে নিষ্ঠুরতার প্রতিচ্ছবির ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। অ্যাক্সাম শহরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার লড়াইয়ে ইথিওপিয়া ও ইরিত্রিয়া, এই উভয় দেশের সেনারা একাধিকবার যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করেছে।

ডিপ্রোস বলেন, এর বাইরে, ইরিত্রিয়ার সেনারা ওই শহরে ধ্বংসলীলা চালিয়েছে ও পদ্ধতিগত উপায়ে ঠান্ডা মাথায় শত শত মানুষকে হত্যা করেছে। এটি দৃশ্যত মানবতাবিরোধী অপরাধের শামিল। তাইগ্রের সংঘাত নিয়ে এ পর্যন্ত যতগুলো ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে, ওই ঘটনা তার মধ্যে সবচেয়ে নিষ্ঠুর।

গত বছরের নভেম্বর মাসের শুরু থেকে ইথিওপিয়ায় চলতে থাকা সংঘাত–সহিংসতার কেন্দ্রে রয়েছে তাইগ্রে অঞ্চল। ওই মাসে ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ তাইগ্রের সাবেক শাসকগোষ্ঠী তাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টের (টিপিএলএফ) নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান পরিচালনা করার নির্দেশ দেন। এর আগে দেশটির ফেডারেল সেনাসদস্যদের বিভিন্ন শিবিরে হামলার ঘটনায় সংগঠনটির নেতাদের দায়ী করে সরকার।

নভেম্বরের শেষ নাগাদ সরকারি সেনারা তাইগ্রের আঞ্চলিক রাজধানী মেকেলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ সরকারি বাহিনীর বিজয় ঘোষণা করেন; যদিও টিপিএলএফ লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছে এবং ওই অঞ্চলে এখনো লড়াই চলছে।

সরকারি বাহিনীর অভিযান শুরুর পর থেকে তাইগ্রেতে ইন্টারনেট–সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এ ছাড়া তাইগ্রেতে যাওয়ার সুযোগও কম। ফলে সেখানকার সহিংসতার প্রকৃত চিত্র পাওয়া কঠিন। ইথিওপিয়ায় প্রতিবেশী ইরিত্রিয়ার সেনাদের উপস্থিতির বিষয়টি ব্যাপকভাবে জানা গেলেও অদ্দিস আবাবা ও আসমারা তা নাকচ করে আসছে।

টিপিএলএফ নিয়ন্ত্রিত ইথিওপিয়ার জোট সরকারের সময় ১৯৯৮–২০০০ সালে ইরিত্রিয়া প্রতিবেশী এ দেশটির সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সীমান্ত লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েছিল। ইরিত্রিয়ার সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রেখে পরে ২০১৯ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান আবি। কিন্তু টিপিএলএফের সঙ্গে এখনো দ্বন্দ্ব মেটাতে পারেননি তিনি।