তিউনিসিয়ায় ব্যাপক বিক্ষোভ, সেনা মোতায়েন
দ্রব্যমূল্য, কর এবং বেকারত্বে জেরবার তিউনিসিয়ায় সহিংস বিক্ষোভের মুখে বেশ কয়েকটি শহরে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। বুধবার এক রাতের মধ্যেই
তিন শরও বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, তিউনিসিয়ার থালা শহরে বিক্ষোভকারীরা জাতীয় নিরাপত্তা ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়। বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে হটাতে ওই কাণ্ড ঘটায়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে সেনা মোতায়েন করা হয়।
উত্তর আফ্রিকার দেশটিতে সোমবার থেকে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ কয়েকটি শহরে ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে তা সহিংস আকার ধারণ করে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, আমদানি-রপ্তানির ঘাটতি পোষাতে ও আন্তর্জাতিক ঋণদাতাদের তুষ্ট করার জন্য সরকার দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও বর্ধিত কর জনগণের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে।
আরব বসন্তের দেশগুলোর মধ্যে শুধু তিউনিসিয়াতেই গণতান্ত্রিক যাত্রার সাফল্য অব্যাহত রয়েছে। যদিও স্বৈরাচারী শাসক জয়নুল আবদিন বেন আলীর সরকার উৎখাতের পর নয়টি সরকার তিউনিসিয়ার শাসনে এলেও এদের কোনোটিই অর্থনীতির চাকা সামলে রাখতে সফল হয়নি।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র খলিফা চিবানি বলেন, এখন পর্যন্ত অন্তত ৬০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে ধ্বংস ও লুটপাটের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বুধবার রাতেই ৩৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে তিনি জানান।
যেসব শহরে বিক্ষোভ মিছিল বেরিয়েছে তার মধ্যে সুস, কেবেলি ও বিজার্টে সরকারি দপ্তরগুলো বিক্ষোভকারীদের আক্রমণের প্রধান লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে। এ জন্য এসব বিল্ডিংয়ের সামনে এখন অধিকসংখ্যক সেনা মোতায়েন রয়েছে।
তিউনিসিয়ায় ২০১১ সালের গণ-অভ্যুত্থান ও ২০১৫ সালের প্রধান দুটি জঙ্গি হামলার ফলে বিদেশি বিনিয়োগ ও পর্যটন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই দুটি খাত দেশটির অর্থনীতির ৮ শতাংশ নির্বাহ করত।
আরও পড়ুন
-
হজ ভিসায় জেদ্দা, মদিনা ও মক্কার বাইরে ভ্রমণ নয়: সৌদি আরব
-
তৃতীয় টি–টোয়েন্টি: হৃদয়–জাকের জুটির ৫০
-
ভারতে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে অমিত শাহসহ হেভিওয়েট প্রার্থী যাঁরা
-
র্যাবের উদ্ধার করা আট কেজি সোনা বৈধ, মামলায় খালাস সেই মনির
-
সাংবাদিক ও জনপ্রতিনিধিরা তথ্য পাচ্ছেন না, পাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য