Thank you for trying Sticky AMP!!

নাইজেরিয়ার বিক্ষোভে সোচ্চার নারীরা

নাইজেরিয়ায় পুলিশের সহিংসতার প্রতিবাদে বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী এক নারী

পুলিশের সহিংসতার প্রতিবাদে নাইজেরিয়ায় কয়েক সপ্তাহ ধরেই বিক্ষোভ করছে কয়েক হাজার মানুষ। বিক্ষোভের সামনের সারিতে রয়েছেন নারীরা। এমনই একজন নারী ইরিয়ানিলে ভার্চুয়াস। বেশির ভাগ সময়ই বিক্ষোভস্থলে থাকেন তিনি।

আল–জাজিরার গতকাল রোববারের খবরে জানা যায়, ২২ বছর বয়সী ইরিয়ানিলে বলেন, ‘রাস্তায় চলা এই বিক্ষোভে মানুষ যাতে পানিশূন্য হয়ে না পড়ে, আমি সে জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমি সব সময় বিক্ষোভকারীদের পানি সরবরাহ করি। গ্লুকোজ ও খাবার বিতরণ করি। করোনার সংক্রমণ যাতে না ছড়ায়, সে জন্য তাদের মাস্কও বিতরণ করেছি।’

নাইজেরিয়ায় লাগোস ও অন্যান্য শহরে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী অন্য নারীদের মধ্যে ইরিয়ানিলেও একজন। বিক্ষোভ সংগঠিত করতে ও তহবিল জোগাড় করতে কাজ করছেন এই নারী।

নাইজেরিয়ার কাওয়ারা রাজ্যে অন্যতম একজন নারী আন্দোলনকারী বালিকিস সালাউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘বিক্ষোভস্থলে আমি অনেক সংবাদকর্মীর সঙ্গে কথা বলেছি। সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গেও কথা বলেছি। বিক্ষোভকারীদের দাবির সঙ্গে সবাইকে একাত্ম হতে আমি উৎসাহিত করেছি।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটার ও ফেসবুকেও এই বিক্ষোভ নিয়ে জোরালো আলোচনা চলছে। ৮ অক্টোবর পুলিশের স্পেশাল অ্যান্টি রবারি স্কোয়াডের (সার্স) বিরুদ্ধে হয়রানি, অত্যাচার ও বিচারবহির্ভূত হত্যার অভিযোগ এনে বিক্ষোভ শুরু করে তরুণেরা। হ্যাশট্যাগসার্স নামে এই বিক্ষোভ নাইজেরিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। রোববার সরকার সার্সকে বাতিল বলে ঘোষণা করে। সার্সের স্থলে স্পেশাল উইপেনস অ্যান্ড ট্যাকটিকস (সোয়াট) দল গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়।

তবে সরকারের এ ধরনের ঘোষণা বিক্ষোভকারীদের সন্তুষ্ট করতে পারেনি।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, সার্সের নাম বদলে নতুন বাহিনী করা হয়েছে। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় অবস্থান করবেন বলেও জানান।

ইবাদানে ২৩ বছরের সিউন গাবাদামোসি বলেন, ২০১৮ সালেও সরকার একই কাজ করেছিল। সার্স থেকে এই বাহিনীর নামকরণ এফ সার্স। কিন্তু কোনো কর্মকর্তা বদল করেননি। এই বাহিনী বরাবর তাঁদের হয়রানি করছে। গত সপ্তাহে তারা তাঁদের বাজে নামে ডেকেছে। এ কারণেই তাঁরা বিক্ষোভ করছেন। তাঁরা পাঁচটি দাবি জানিয়েছেন। একটি দাবি পূরণ হয়েছে।

নারীদের নেতৃত্বাধীন বেসরকারি সংস্থা ফেমিনিস্ট কোয়ালিশন আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে লিঙ্গ–সমতার জন্য। তারা বিক্ষোভকারীদের মাস্ক, খাবার, পানি ও হাসপাতালের বিল দিয়ে সহায়তা করছে। এই দলের সদস্যরা আটক বিক্ষোভকারীদের মুক্তির জন্য কাজ করছেন।