Thank you for trying Sticky AMP!!

নড়েছে ‘এভার গিভেন’, জট খুলছে সুয়েজ খালে

সুয়েজ খাল কর্তৃপক্ষ (এসসিএ) বলেছে, জাহাজটির গতিপথ প্রায় ৮০ শতাংশ ঠিক করা হয়েছে। সুয়েজ খাল, ২৯ মার্চ

মিসরের সুয়েজ খালে আটকে পড়া কনটেইনারবাহী জাহাজটি অবশেষে ‘মুক্ত’ হয়েছে। এর ফলে এক সপ্তাহ পর গুরুত্বপূর্ণ এই বাণিজ্যিক নৌপথে পুনরায় চলাচলের আশা দেখা দিয়েছে।

সুয়েজ খাল কর্তৃপক্ষকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, আটকে থাকা ‘এভার গিভেন’ জাহাজটিকে আজ সোমবার কূল থেকে নামানো গেছে। ফলে এটির এখন জলে চলার মতো অবস্থা তৈরি হয়েছে।

গত মঙ্গলবার সকালে সুয়েজ খাল অতিক্রমের সময় প্রবল বাতাস ও ধূলিঝড়ের কবলে পড়ে ‘এভার গিভেন’। প্রতিকূল আবহাওয়ার কবলে পড়ে জাহাজটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। ৪০০ মিটার দীর্ঘ কনটেইনারবাহী জাহাজটি সুয়েজ খালে আড়াআড়িভাবে আটকা পড়ে।

এতে বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই নৌপথে জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সুয়েজ খালের দুই প্রবেশমুখে সৃষ্টি হয় জাহাজজট। জটে আটকে পড়ে তিন শতাধিক জাহাজ। তখন ইউরোপ থেকে ভারত মহাসাগরে আসতে তখন পুরো আফ্রিকা মহাদেশ ঘুরে আসা ছাড়া বিকল্প ছিল না।

তাই সুয়েজ খাল দিয়ে নৌচলাচল ফের শুরু করতে গত বুধবার থেকে শুরু হয় উদ্ধার অভিযান, যা টানা চলতে থাকে। উদ্ধারকাজে যুক্ত হয় এক ডজনের বেশি টাগবোট। প্রায় এক সপ্তাহ পর অবশেষ আজ আসে সুখবর।

গত মঙ্গলবার সুয়েজ খাল অতিক্রমের সময় প্রবল বাতাস ও ধূলিঝড়ের কবলে পড়ে ‘এভার গিভেন’

পানামার পতাকাবাহী জাহাজটি তাইওয়ানের এভারগ্রিন মেরিন করপোরেশন লিজ নিয়ে পরিচালনা করছে। মেরিটাইম সার্ভিস ফার্ম ইঞ্চকেপ শিপিং সার্ভিসেস জানিয়েছে, আটকে পড়া জাহাজটিকে স্থানীয় সময় ভোররাত সাড়ে চারটার দিকে সফলভাবে নড়ানো সম্ভব হয়।

সুয়েজ খাল কর্তৃপক্ষ (এসসিএ) বলেছে, জাহাজটিকে আংশিকভাবে ভাসিয়ে তোলা সম্ভব হয়েছে। জাহাজটির গতিপথ প্রায় ৮০ শতাংশ ঠিক করা হয়েছে।

সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, জাহাজটির ইঞ্জিন আবার চালু করা হয়েছে। জাহাজটিকে প্রাথমিকভাবে পরিদর্শন করার পর সরানো হবে। এখন জাহাজটি সোজা করা হলেই এটি তার পথে চলতে শুরু করবে। জোয়ার এলে আজকের মধ্যেই তা সরিয়ে নেওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বিশ্ববাণিজ্যে সুয়েজ খালের গুরুত্ব অনেক। এটি নৌপথে এশিয়া ও ইউরোপের দূরত্ব অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে। ফলে সুয়েজ খাল ব্যবহার করে এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে তুলনামূলক কম খরচে পণ্য পরিবহন করা যায়। বৈশ্বিক পণ্য বাণিজ্যের ১২ শতাংশ সুয়েজ খাল হয়ে পরিবহন করা হয়।