Thank you for trying Sticky AMP!!

মিলিটারি ক্যাম্প থেকে ছাড়া পেলেন বিবিসির সাংবাদিক

গিরমে গেবরু

ইথিওপিয়ার সংঘর্ষপূর্ণ তাইগ্রে অঞ্চলের রাজধানী মেকেলের মিলিটারি ক্যাম্প থেকে ছাড়া পেয়েছেন আটক বিবিসির সাংবাদিক। তাঁর নাম গিরমে গেবরু। তিনি বিসিসি তাইগ্রেনিয়ার জন্য কাজ করেন। তাঁকে কী কারণ আটক করা হয়েছিল, তা জানে না বিবিসি।

এ ছাড়া বিসিসি তাইগ্রেনিয়া জানিয়েছে, গিরমে ছাড়াও স্থানীয় সাংবাদিক তামিরাত ইয়েমানে এবং দুজন অনুবাদক আলুলা আকালু ও ফিটসাম বারহানেও ছাড়া পেয়েছেন। শেষের দুজন যথাক্রমে ফিন্যান্সিয়াল টাইমস ও বার্তা সংস্থা এএফপির জন্য কাজ করেন।

অনুবাদ দুজনকে গত শনিবার আটক করে মেকেলে ইউনির্ভাসিটির কাছে মিলিটারি কলেজে রাখা হয়েছিল বলে এএফপিকে পরিবার জানিয়েছিল।

ইথিওপিয়ার উত্তরের এই অঞ্চল কেন্দ্রীয় সরকার ও সাবেক ক্ষমতাসীন দল তাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টের মধ্যকার সংঘর্ষের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।

এএফপির খবরে বলা হয়, এএফপি, বিবিসি, ফিন্যান্সিয়াল টাইমসসহ সাতটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সংস্থার তাইগ্রেতে কাজ করার অনুমতি আছে। কিন্তু এসব সংস্থার সাংবাদিকদের সতর্ক করা হয় যদি তাঁরা স্থানীয় মানদণ্ড বহাল রাখতে না পারেন, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে অনির্ধারিত ‘সংশোধনমূলক পদক্ষেপ’ নেওয়া হবে।

গত বছরের নভেম্বর থেকে তাইগ্রেতে সামরিক অভিযান শুরু করে ইথিওপিয়ার কেন্দ্রীয় সরকার। ২০১৮ সালে আবি আহমেদ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইথিওপিয়ার ক্ষমতায় আসার পর আফ্রিকার দেশটির রাজনৈতিক অবস্থার আমূল পরিবর্তন হতে শুরু করে। প্রতিবেশী ইরিত্রিয়ার সঙ্গে দুই দশক ধরে চলা রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসান ঘটে তাঁরই হাত ধরে। ফলে ক্ষমতায় আসার মাত্র এক বছরের মাথায় নোবেল শান্তি পুরস্কার পান আবি।

প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় আবি প্রশংসিত হলেও নিজ দেশের স্বাধীনতাকামী অঞ্চল তাইগ্রেতে শান্তি ফেরাতে তেমন পদক্ষেপ নেননি তিনি। উল্টো ব্যাপক রাজনৈতিক সংস্কারের নামে তাইগ্রেয়ানদের কোণঠাসা করে ফেলেন তিনি। এ ঘটনা টিপিএলএফের সঙ্গে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধ উসকে দেয়। শুরু হয় টিপিএলএফের বাহিনীর সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর রক্তক্ষয়ী সংঘাত। দেশটির ১০ কোটি জনসংখ্যার ৬ শতাংশ তাইগ্রে জনগোষ্ঠীর।