Thank you for trying Sticky AMP!!

যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে লাইবেরিয়ার বিদ্রোহী নেতার বিচার শুরু

গিবরিল অ্যালোঘিমা ম্যাসাকোইয়ের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়েছে

লাইবেরিয়ার গৃহযুদ্ধে নিষ্ঠুরতা চালানোর অভিযোগে দেশটির সন্দেহভাজন বিদ্রোহী এক নেতার বিরুদ্ধে ফিনল্যান্ডে বিচার শুরু হয়েছে। খবর বিবিসির।

কৌঁসুলিরা বলেন, লাইবেরিয়ায় ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত গৃহযুদ্ধ চলাকালে সিয়েরা লিওনে জন্মগ্রহণকারী গিবরিল অ্যালোঘিমা ম্যাসাকোই একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর জ্যেষ্ঠ সদস্য ছিলেন। বেসামরিক লোকজন ও নিরস্ত্র সেনাদের হত্যা, ধর্ষণ ও শিশুদের সৈন্য হিসেবে নিয়োগ করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, অ্যালোঘিমা শিশুসহ বেসামরিক লোকজনকে দুটি ভবনে আটকে রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরে ভবন দুটিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গিবরিল অ্যালোঘিমা। তিনি বলেছেন, যে সময় যুদ্ধাপরাধ সংঘটনের অভিযোগ করা হচ্ছে, সেই সময় তিনি শান্তি আলোচনায় অংশগ্রহণ করেছিলেন।

লাইবেরিয়ার গৃহযুদ্ধে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ প্রাণ হারান। পরে এই গৃহযুদ্ধে প্রতিবেশী সিয়েরা লিওনও জড়িয়ে পড়ে।

গিবরিল অ্যালোঘিমা (৫১) সিয়েরা লিওনের কুখ্যাত বিদ্রোহী গোষ্ঠী দ্য রেভল্যুশনারি ইউনাইটেড ফ্রন্টের (আরইউএফ) একজন কমান্ডার ছিলেন। গোষ্ঠীটি লাইবেরিয়ার গৃহযুদ্ধে অংশ নেয়। বেসামরিক লোকজনকে হত্যা ও ধর্ষণের পাশাপাশি অঙ্গচ্ছেদ করার মতো নিষ্ঠুরতার জন্য পরিচিত ছিল এই গোষ্ঠী।

ওই গৃহযুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তদন্তে জাতিসংঘের সমর্থনে স্পেশাল কোর্ট ফর সিয়েরালিওন প্রতিষ্ঠিত হয়। যুদ্ধের সময় সিয়েরালিওনে সংঘটিত অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের দায়মুক্তি দিয়ে গৃহীত একটি সাক্ষী সুরক্ষা কর্মসূচির অংশ হিসেবে গিবরিল অ্যালোঘিমাকে ২০০৮ সালে ফিনল্যান্ডে পাঠানো হয়। তবে লাইবেরিয়ায় যুদ্ধাপরাধে জড়িত ব্যক্তিরা ওই কর্মসূচির অধীন দায়মুক্তি পাননি।

গত মার্চে ফিনল্যান্ডের ট্যাম্পেরে শহর থেকে গিবরিল অ্যালোঘিমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এখন তাঁকে বিচারের সম্মুখীন করা হলো।

এএফপির খবরে বলা হয়, অ্যালোঘিমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সপক্ষে আদালতে পেশ করা নথিপত্র অনুযায়ী, তিনি আরইউএফের শীর্ষস্থানীয় ও প্রভাবশালী পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। লাইবেরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট চার্লস টেইলরের অনুগত এনপিএফএল বাহিনীর পাশাপাশি গৃহযুদ্ধে অংশ নেয় আরইউএফ।

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, অ্যালোঘিমা শিশুসহ বেসামরিক লোকজনকে দুটি ভবনে আটকে রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরে ভবন দুটিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।