Thank you for trying Sticky AMP!!

সিনেমার সংলাপে হিংসা ছড়ায় না: কলকাতা হাইকোর্ট

মিঠুন চক্রবর্তী

অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেসের করা মামলার শুনানিতে আদালত বলেছেন, সিনেমার সংলাপে হিংসা ছড়ায় না। গতকাল বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে এ মামলার শুনানিকালে এই পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়।

বিচারপতি তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেন, সিনেমার সংলাপ হিংসা ছড়াতে পারে, তেমনটা তিনি মনে করেন না। এদিন বিচারপতি ‘শোলে’ সিনেমার গব্বর সিং তথা আমজাদ খানের সংলাপ তুলে ধরেন। বিচারপতি বলেন, ‘শোলে’ সিনেমার আমজাদ খানের সংলাপ অমর হয়ে রয়েছে। এ ছাড়া আরও অনেক সিনেমার সংলাপ অমর হয়ে রয়েছে।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে এবারের রাজ্য বিধানসভার নির্বাচনে বিজেপির হয়ে প্রচারে নেমেছিলেন বলিউড তারকা মিঠুন চক্রবর্তী। গত ৭ মার্চ কলকাতায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ব্রিগেড সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। এই সমাবেশে যোগ দিয়ে মোদির হাত ধরে সেদিন বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। ওই দিন তাঁর অভিনীত চলচ্চিত্রের সংলাপ শুনিয়েছিলেন মিঠুন। তিনি বলেন, ‘মারব এখানে, লাশ পড়বে শ্মশানে’। এরপরই মিঠুন বলেন, ‘এবার আমি নতুন আর একটি সংলাপ শোনাব। সেটা হলো, “আমি জলঢোড়া নই, বেলেবোরাও নই, আমি জাত গোখরো, এক ছোবলেই ছবি।”’ আর এতেই খেপে যায় তৃণমূল।

উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে গত ৬ মে মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে কলকাতার মানিকতলা থানায় মামলা করে উত্তর কলকাতার যুব তৃণমূল কংগ্রেস। আবেদনে বলা হয়, মিঠুন চক্রবর্তী বিজেপির প্রচারে এসে তৃণমূলের বিরুদ্ধে নানা উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। বিশেষ করে উসকানিমূলক বক্তব্যের মাধ্যমে মিঠুন চক্রবর্তী এই রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট ও শান্তিভঙ্গের চেষ্টা চালান। এমনকি বিভিন্ন গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের মধ্যে বিদ্বেষ ছড়িয়েছেন।

মিঠুন চক্রবর্তী একে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে উল্লেখ করে মামলাটি খারিজের আবেদন করেন কলকাতা হাইকোর্টে। তাঁর আইনজীবী বিকাশ সিং বলেছেন, রাজনৈতিক হিংসা চরিতার্থ করতেই মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে এ ধরনের মিথ্যা অভিযোগ এনে মামলা করা হয়েছে। ওই অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই। তিনি বলেন, মিঠুন চক্রবর্তীর সংলাপে যদি নির্বাচনী বিধিভঙ্গ হতো, তাহলে নির্বাচন কমিশনই মিঠুনের বিরুদ্ধে নোটিশ দিত। কিন্তু নির্বাচন কমিশন থেকে কোনো নোটিশ দেওয়া হয়নি মিঠুন চক্রবর্তীকে।