Thank you for trying Sticky AMP!!

আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে সৃষ্ট ছাইয়ে চাপা পড়েছে ঘরবাড়ি ও গাড়ি

আগ্নেয়গিরির ছাইয়ে ঢাকা পড়েছে ঘরবাড়ি ও গাড়ি

ইন্দোনেশিয়ার সেমেরু আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনায় উদ্ধার কার্যক্রম ভারী বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। খবর এএফপির
দেশটির জাভা প্রদেশে শনিবার মাউন্ট সেমেরু আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়। এই অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।

বিপদ এখনো কাটেনি জানিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

আজ সোমবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে সৃষ্ট ছাইয়ে পূর্ব জাভার লুমাজাং জেলার অন্তত ১১টি গ্রাম ছেয়ে গেছে।

খবরে বলা হয়, আগ্নেয়গিরির ছাইয়ে গ্রামগুলোর ঘরবাড়ি প্রায় ঢেকে গেছে। ঘরবাড়ির ছাদ পর্যন্ত ছাইয়ের স্তর জমে গেছে। রাস্তায় থাকা যানবাহন ছাইয়ের নিচে পড়েছে।
গরম ছাইয়ে চাপা পড়া লোকজনকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন উদ্ধারকর্মী, পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর সদস্যরা।

তল্লাশিকাজে নিয়োজিত এক ব্যক্তি জানান, তাঁর গ্রামের ১০ জন মানুষের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

উদ্ধারকাজের ভিডিও ধারণ করছিলেন তৌফিক ইসমাইল মারজুকি নামের এক ব্যক্তি। তিনি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, উদ্ধার প্রচেষ্টা খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে।

অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৫৬ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকে দগ্ধ হয়েছেন।

ছাইয়ে চাপা পড়া বাড়ির পাশে শিশু কোলে এক বাসিন্দা

ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার (বিএনপিবি) এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, আহত ব্যক্তিদের বিভিন্ন হাসপাতাল ও চিকিৎসাকেন্দ্রে সেবা দেওয়া হচ্ছে।

বেশ কিছু ব্যক্তি বলছেন, তাঁরা এখনো তাঁদের স্বজনদের লাশ পাননি। কারণ, কিছু লাশের পরিচয় এখনো শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি মেরামতের চেষ্টা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা

সেমেরু আগ্নেয়গিরি পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা এক কর্মকর্তা আজ স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছেন। উদ্বিগ্ন বাসিন্দারা তাঁদের জিনিসপত্র ও গবাদিপশুর খোঁজ নিতে ঘরবাড়িতে ফিরছেন—এমন খবরের পরিপ্রেক্ষিতে এই সতর্কতার কথা বলা হয়।

ইন্দোনেশিয়ার মোট ১৩০টি জীবন্ত আগ্নেয়গিরি রয়েছে। তার একটি হলো মাউন্ট সেমেরু।