আফরিন শহর বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে, দাবি এরদোয়ানের
যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে কুর্দি অধ্যুষিত আফরিন শহর ‘পরোপুরি’ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে বলে দাবি করেছে তুরস্ক-সমর্থিত সিরীয় বিদ্রোহীরা। আজ রোববার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান একই দাবি করেন।
প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেন, সকাল সাড়ে আটটার দিকে তুরস্কের সেনবাহিনীর সহায়তায় ফ্রি সিরিয়ান আর্মির ইউনিট আফরিন শহরের কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। মাটিতে পুঁতে রাখা বোমা অপসারণ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, এখন সেখানে তুরস্কের পতাকা উড়বে। ফ্রি সিরিয়ান আর্মি এই পতাকা ওড়াবে।
তুরস্কের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে আফরিন দখলের খবরটি নিশ্চিত করে বলেছে, মাটির নিচে পুঁতে রাখা মাইন বা বিস্ফোরক দ্রব্য খুঁজে বের করতে অনুসন্ধান চলছে।
সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, পিপলস প্রোটেকশন ইউনিট (ইউপিজি) ও কুর্দি মিলিশিয়া গ্রুপ উৎখাতের লক্ষ্যে গত ২০ জানুয়ারি থেকে স্থল ও আকাশপথে অভিযান শুরু করেছিল তুরস্ক-সমর্থিত বিদ্রোহী বাহিনী।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলছে, তুরস্কের অভিযান চলাকালে তিন দিনের কম সময়ে দুই লক্ষাধিক নাগরিক আফরিন থেকে পালিয়ে গেছে। সংস্থাটির উদ্ধৃতি দিয়ে গার্ডিয়ান বলছে, তুরস্ক-সমর্থিত বাহিনী তীব্র যুদ্ধ করে শহরটির অর্ধেক নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। তবে এখনো যুদ্ধ চলছে।
সিরিয়ার জ্যেষ্ঠ কুর্দি কর্মকর্তা হাদিয়া ইউসুফ শহরটি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার বিষয়ে তুরস্কের দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেছেন, তুরস্ক এবং তার মিত্রবাহিনীর ‘হত্যাকাণ্ড’ চালানোর কারণে কুর্দি মিলিশিয়া গ্রুপ সেখানকার নাগরিকদের সরিয়ে দিয়েছে।
আফরিন অভিযানের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৪৬ তুর্কি সেনা নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে তুরস্কের সেনাবাহিনী।