Thank you for trying Sticky AMP!!

আমেরিকানদের আরও ভুগতে হবে: তালেবান

গত বৃহস্পতিবার কাবুলে গাড়িবোমা হামলায় এক মার্কিন সেনাসহ ১২ জন নিহত হন। ওই ঘটনার দায় স্বীকার করে তালেবান। এরপরই ডোনাল্ড ট্রাম্প শান্তিচুক্তির বৈঠক বাতিল করেন। ছবি: রয়টার্স

আফগানিস্তানে বসবাসরত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা সামনে আরও ভুগবে বলে হুমকি দিয়েছে তালেবান। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শান্তিচুক্তি–সম্পর্কিত আসন্ন বৈঠক হঠাৎ বাতিল করায় প্রতিক্রিয়া হিসেবে এ কথা জানিয়েছে তালেবান।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, শান্তিচুক্তি বাতিলের বিষয়ে ট্রাম্পের আকস্মিক ঘোষণার ঠিক ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই প্রতিক্রিয়া জানিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে তালেবান। রোববার ওই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। বিবৃতিতে তালেবান বলছে, ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্ত আফগানিস্তানে থাকা মার্কিন নাগরিকদের জীবন বিপন্নের কারণ হবে।

তালেবানের মুখপাত্র জাবিহউল্লাহ মুজাহিদ বিবৃতিতে বলেছেন, উভয় পক্ষই (যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবান) শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর ও ঘোষণা বিষয়ে জোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তবে হঠাৎ মার্কিন প্রেসিডেন্ট তা ভেস্তে দিলেন। যুক্তরাষ্ট্র যে শান্তিতে বিশ্বাসী না—সেটি আবারও বাকি বিশ্বের কাছে প্রকাশিত হলো।

জাবিহউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, ‘যুদ্ধের পরিবর্তে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলাম। এখন যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দেশ থেকে বিদেশি দখলদারি শেষ না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা সন্তুষ্ট হব না।’

আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি ও জ্যেষ্ঠ তালেবান নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা ছিল মার্কিন প্রেসিডেন্টের। রোববার ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টিত কূটনৈতিক এলাকা শাশ দারকে গাড়িবোমা হামলায় এক মার্কিন সেনাসহ ১২ জন নিহত হন। ন্যাটোর নেতৃত্বাধীন মিশনের এক রুমানিয়ার সেনাও নিহত হন। ওই ঘটনার দায় স্বীকার করে তালেবান। এরপরই ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, ওই বৈঠক বাতিল করছেন তিনি।

এর আগে গত সোমবার আফগান-আমেরিকান কূটনীতিক জালমে খালিলজাদ ঘোষণা করেন যে তালেবানের সঙ্গে ‘নীতিগত’ একটি চুক্তি হতে যাচ্ছে। প্রস্তাবিত চুক্তি অনুযায়ী, আগামী ২০ সপ্তাহের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে ৫ হাজার ৪০০ সেনা প্রত্যাহার করে নেবে যুক্তরাষ্ট্র। তবে বিষয়টির চূড়ান্ত অনুমোদন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ওপর নির্ভর করছে বলেও জানান তিনি। আফগানিস্তানে এখন ১৪ হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে।

২০০১ সালে মার্কিন হস্তক্ষেপের পর থেকে যেকোনো সময়ের তুলনায় এখন আফগানিস্তানের আরও বেশিসংখ্যক অঞ্চল তালেবানের নিয়ন্ত্রণে আছে। তালেবানরা আফগান সরকারের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনাতেও বসতে চায় না। তাদের ভাষায়, আফগান সরকার যুক্তরাষ্ট্রের ‘হাতের পুতুল’।