Thank you for trying Sticky AMP!!

আসিয়ানের পাঁচ দফা, স্বাগত জানাল ছায়া সরকার

মিয়ানমার নিয়ে আসিয়ানের সম্মেলন শেষে এর ফলাফল ও পাঁচ দফার বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান আয়োজক দেশ ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো। ২৪ এপ্রিল, ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায়

মিয়ানমারে রক্তপাত বন্ধ ও শান্তি ফেরাতে আঞ্চলিক জোট আসিয়ানের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে ক্ষমতাচ্যুত আইনপ্রণেতাদের গঠিত ছায়া সরকার। ছায়া সরকারের প্রতিনিধিরা আশা করছেন, দ্রুত আসিয়ানের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে।

বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, মিয়ানমারে শান্তি ফেরাতে গতকাল শনিবার ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় আসিয়ান দেশগুলোর বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে প্রকাশিত বিবৃতিতে মিয়ানমারে রক্তপাত বন্ধে পাঁচ দফা ঘোষণা করেছে আসিয়ান।

আসিয়ানের বিবৃতির বিষয়ে ছায়া সরকারের মুখপাত্র ড. সাসা বলেছেন, ‘রক্তপাত বন্ধে আসিয়ানের উদ্যোগ উত্সাহজনক খবর। মিয়ানমারে গণতন্ত্র ও জনগণের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে জোটের সিদ্ধান্তগুলোর দ্রুত বাস্তবায়নের অপেক্ষায় রয়েছি।’
আসিয়ানের পাঁচ দফায় মিয়ানমারে বিবদমান সব পক্ষকে অবিলম্বে রক্তপাত বন্ধ ও সংযত আচরণ করার পাশাপাশি সংকট নিরসনে গঠনমূলক সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছে আসিয়ান। মধ্যস্থতার জন্য দূত পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে আঞ্চলিক এ জোট। একই সঙ্গে মিয়ানমারে মানবিক সহায়তা প্রদানের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

পাঁচ দফার আওতায় আলোচনার প্রস্তাব দিলেও মিয়ানমারে জান্তার হাতে আটক অং সান সু চিসহ রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তির বিষয়ে আসিয়ানের বিবৃতিতে কিছু বলা হয়নি। প্রতিক্রিয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল বলেছেন, রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তির বিষয়টি নিয়ে আসিয়ানকে সরব থাকতে হবে।

Also Read: মিয়ানমারে শান্তি ফেরাতে আসিয়ানের পাঁচ দফা

শান্তি ফেরাতে আসিয়ানের পাঁচ দফার দ্রুত বাস্তবায়ন চেয়েছেন মিয়ানমারে জাতিসংঘের বিশেষ দূত টম অ্যান্ড্রুজ। রোববার টুইটার বার্তায় তিনি বলেন, ‘আসিয়ানের উদ্যোগের শুধু কাগুজে বাস্তবায়ন দেখতে চাই না।’

জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড টুইটে বলেন, ‘মিয়ানমারের বিষয়ে আসিয়ানের গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎক্ষণিক উদ্যোগগুলোর ফলাফল দেখতে নিরাপত্তা পরিষদের আওতায় আমরা অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় রয়েছি।’
গত ১ ফেব্রুয়ারির সেনা অভ্যুত্থানের পর সু চির সরকার ও তাঁর রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) আইনপ্রণেতাদের ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অনেকে আটক রয়েছেন। অনেকেই আত্মগোপনে গেছেন। চলতি মাসে তাঁরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ছায়া সরকার গঠন করেছেন। ‘ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্মেন্ট’ নামের এ সরকারের প্রধানতম লক্ষ্য মিয়ানমারে গণতন্ত্র ফেরানো ও রাজবন্দীদের মুক্তি।

সেনাশাসনের বিরুদ্ধে মিয়ানমারে আড়াই মাসের বেশি সময় ধরে বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভে সেনা-পুলিশের গুলিতে এখন পর্যন্ত শিশুসহ অন্তত ৭৪০ জন বেসামরিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে অধিকার সংগঠন অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স (এএপিপি)। আটক হয়েছেন সাংবাদিক, শিল্পীসহ তিন সহস্রাধিক বিক্ষোভকারী।

এদিকে আজ মিয়ানমারের স্বাধীন সংবাদমাধ্যম ইরাবতীর সাবেক সম্পাদক থু থু থা’কে আটক করা হয়েছে। বিক্ষোভ হয়েছে খনিজসম্পদে সমৃদ্ধ উত্তরাঞ্চলীয় শহর হাপাকান্তে।

Also Read: রক্তপাত বন্ধ করুন, জান্তাপ্রধানকে আসিয়ান নেতারা

Also Read: মিয়ানমার: ক্ষমতা দখলের পর সেনাপ্রধান প্রথম বিদেশ সফরে যাচ্ছেন