Thank you for trying Sticky AMP!!

ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠান এনএসওর বিরুদ্ধে অ্যাপলের মামলা

আইফোনে কথা বলছেন এক নারী। তিনি কি নিশ্চিত করে বলতে পারেন, তাঁর কথোপকথনে আড়ি পাতছে না কেউ? ছবিটি অবশ্য পুরোনো। দূরের ওই ভবনেই এনএসও গ্রুপের প্রধান কার্যালয়

ইসরায়েলের প্রতিষ্ঠান এনএসও গ্রুপের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে মামলা করেছে অ্যাপল কর্তৃপক্ষ। মামলায় অ্যাপল ব্যবহারকারীদের ডিভাইস হ্যাক করার জন্য এনএসওর পেগাসাস স্পাইওয়্যার ব্যবহার করার অভিযোগ আনা হয়েছে। খবর আল–জাজিরার।

গত মঙ্গলবার করা এ মামলায় অ্যাপল কর্তৃপক্ষ এনএসওকে একুশ শতকের ‘নীতিহীন ভাড়াটে’ বলে উল্লেখ করেছে। অ্যাপল অভিযোগ করে, সাইবার-নজরদারি প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে।  

Also Read: আইফোন কেন ইসরায়েলের পেগাসাস স্পাইওয়্যার ঠেকাতে পারল না

অ্যাপলের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্রেগ ফেদেরিগ এক বিবৃতিতে বলেন, কোনো ধরনের জবাবদিহি ছাড়াই বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান এনএসও গ্রুপের অত্যাধুনিক নজরদারি প্রযুক্তির পেছনে লাখ লাখ ডলার ব্যয় করা হচ্ছে। এ পদ্ধতির পরিবর্তন দরকার।

ইসরায়েলি সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটির দাবি, সন্ত্রাসী এবং অপরাধীদের ওপর নজরদারি করতেই তাদের এ প্রযুক্তি নির্মাণ করা হয়েছে। অ্যাপলের মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এএসও গ্রুপের একজন মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেছেন, তাঁদের প্রতিষ্ঠান সত্যের পক্ষে সমর্থন অব্যাহত রাখবে।

ওই মুখপাত্র আরও দাবি করেছেন, ‘সন্ত্রাসীরা অবাধে প্রযুক্তিগত সুবিধা ব্যবহার করে আশ্রয়স্থলে কাজ করতে পারে। আমরা সরকারকে এটির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বৈধ হাতিয়ার সরবরাহ করি।’

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরা জানায়, অ‌্যাপল মামলা করায় এনএসওর সংকট আরও বাড়ল। পেগাসাস-কাণ্ডে এনএসওকে আগেই কালো তালিকাভুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্র। পেগাসাস স্পাইওয়‌্যার দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক নেতা, সমাজকর্মী, সাংবাদিক, আমলাসহ বহু মানুষের ফোনে আড়ি পাতা ও তথ‌্য হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।

Also Read: পেগাসাস যেভাবে তথ্য ফাঁস করে