Thank you for trying Sticky AMP!!

সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিনিধিদলকে নিয়ে ইতিহাদ এয়ারওয়েজের একটি উড়োজাহাজ আজ তেল আবিব পৌঁছায়। বেন-গুরিয়ন বিমানবন্দর, ইসরায়েল, ২০ অক্টোবর

ইসরায়েলে আমিরাতের প্রতিনিধিদের প্রথম সফর, তবে বিমানবন্দরেই সীমাবদ্ধ

প্রথমবারের মতো সরকারি সফরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিনিধিদল ইসরায়েলে পৌঁছেছে। গত আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের ঘোষণার পর এ সফর অনুষ্ঠিত হয়। তবে পাঁচ ঘণ্টার এ সফর বিমানবন্দরেই সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কারণেই এই সিদ্ধান্ত বলে রয়টার্সের খবরে বলা হয়।

আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, সফরকারীদের নেতৃত্বে রয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবদুল্লাহ বিন তৌক আল-মারি, প্রতিমন্ত্রী ওবায়েদ হুমাইদ আল-তায়ের। এই প্রতিনিধিদলের সঙ্গে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মুনিচিনসহ কয়েকজন মার্কিন কর্মকর্তা।

স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার বিকেলে দলটি তেল আবিবের বেন-গুরিয়ন বিমানবন্দরে পৌঁছায়। সেখানে তাদের লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তাদের স্বাগত জানান দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাবি আশকেনাজি ও অর্থমন্ত্রী ইসরায়েল কাতজ।

নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমরা এমনভাবে ইতিহাস রচনা করছি, তা প্রজন্মের পর প্রজন্ম মনে রাখবে।’

গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় প্রথম আরব দেশ হিসেবে আমিরাত ও আরেক উপসাগরীয় দেশ বাহরাইন ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সমঝোতা চুক্তি করে। সর্বশেষ গত রোববার বাহরাইনে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিক চুক্তি করতে যায় ইসরায়েলের প্রতিনিধিদল।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, আজ সকালে ইতিহাদ এয়ারওয়েজের একটি উড়োজাহাজে করে আমিরাতের প্রতিনিধিরা ইসরায়েলের উদ্দেশে যাত্রা করেন। করোনা পরিস্থিতির কারণে বিমানবন্দরেই পাঁচ ঘণ্টার এ সফরকে সীমাবদ্ধ রাখা হয়।

ইসরায়েলে আমিরাতের প্রতিনিধিদলের যাত্রা নিয়ে একটি ভিডিও টুইটারে পোস্ট করেন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত আরি বারকোভিটস। ওই ভিডিওতে ইতিহাদ এয়ারওয়েজের এক পাইলটকে বলতে শোনা যায়, ‘ইউএইর জন্য এ সফর একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। এই অঞ্চলে (মধ্যপ্রাচ্য) ইসরায়েল ও আমরা সালামের (শান্তি) অপেক্ষায় আছি।’

এই সফরের আগেই মধ্য আগস্টে ইসরায়েল ও ইউএইর মধ্যে একাধিক বাণিজ্যিক চুক্তি সই হয়। সে সময় তাদের প্রথম ঘোষণা ছিল, দেশ দুটির মধ্যে পূর্ণ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করা। ইসরায়েলের কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, চলমান সফরে দুই দেশের মধ্যে ভিসা চুক্তি হতে পারে। আর এটি হলে আমিরাতই হবে প্রথম আরব দেশ, যারা ইসরায়েলের সঙ্গে ভিসা পদ্ধতি চালু করবে।