Thank you for trying Sticky AMP!!

উইঘুরদের শিবিরে প্রবেশের অধিকার চেয়েছে জাতিসংঘ

জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট। ছবি: সংগৃগীত

চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিম জনগোষ্ঠীর ‘পুনঃশিক্ষা’ কার্যক্রম পরিচালনায় স্থাপিত শিবিরগুলোতে প্রবেশের অধিকার চেয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন। ‘পুনঃশিক্ষা’ কার্যক্রমে অন্তত ১০ লাখ মুসলিম উইঘুরকে বন্দি রেখে জীবনযাপনে বাধ্য করছে চীন সরকার। উইঘুরদের নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রও।

গতকাল বুধবার জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট জানান, চীনের উইঘুর মুসলিম জনগোষ্ঠীকে নিয়ে ‘উদ্বেগজনক’ প্রতিবেদনের সত্যতা যাচাই করতে তিনি আগ্রহী।

সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, চীনের ওই কেন্দ্রগুলোতে আগে বন্দী ছিলেন এমন কয়েকজন জানিয়েছেন, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আদর্শে দীক্ষিত হওয়ার নামে ক্যাম্পগুলোতে তাদের ওপর চরম নির্যাতন চালানো হয়। তবে প্রথমে চীন এমন আটক শিবিরের কথা অস্বীকার করেছিল। কিন্তু পরে চীন এগুলোকে বৃত্তিমূলক শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে অভিহিত করেছে।

মিশেল ব্যাচেলেট বলেন, ‘জাতিসংঘের পক্ষ থেকে কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করি, চীনকে এ বিষয়ে সংলাপে ব্যস্ত রাখতে সক্ষম হব। ’

হিউম্যান রাইটস পলিসির জার্মান কমিশনার বারবেল কফলার সম্প্রতি চীন সফরের সময় ওই উইঘুর শিবিরগুলোতে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু চীনা কর্তৃপক্ষ তাঁকে এ অনুমোদন দেয়নি। তিনি বলেন, ‘মুসলিম উইঘুরদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়, তাতে আমি প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছি। আমি জানতে চাই, উইঘুররা সেখানে কেমন আছেন। চীনের প্রতি অব্যাহত চাপ রাখতে হবে, যেন তারা ক্যাম্পে অন্যদের যেতে দেয়।’ কফলার বলেন, তিনি চীনের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন।

উইঘুরদের নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ
চীনে ২০ লাখ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মধ্যে ৮ লাখ সংখ্যালঘুকে সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন শিবিরে আটক করে রাখা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন দেশটির আইনপ্রণেতাদের বিষয়টি অভিহিত করেছে। তারা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, এ ঘটনা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে এক শুনানিতে ব্যুরো অব দ্য হিউম্যান রাইট ডেমোক্রেসি অ্যান্ড লেবারের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্স সেক্রেটারি অব স্টেট স্কট বাসবি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যে ধরনের দমনমূলক কার্যক্রম চালাচ্ছে, ঠিক একই রকম কার্যক্রম চালাচ্ছে বেইজিং। তিন আরও বলেন, সম্ভবত চীনে উইঘুর, কাজাখ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ আছে। নিশ্চিতভাবে এর মধ্যে ৮ লাখ মানুষকে আটক শিবিরে রেখেছ চীন। ২০১৭ সালের এপ্রিল থেকে এ অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র।
সিনেটের আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটিতে সাক্ষ্য দেওয়ার আগে বাসবি বলেন, আটক ব্যক্তিদের অধিকাংশের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। এই ব্যক্তিদের পরিবারেরা তাঁদের সম্পর্কে কোনো তথ্য জানেন না। প্রথমে চীন এমন আটক শিবিরের কথা অস্বীকার করেছিল। কিন্তু পরে চীন এগুলোকে বৃত্তিমূলক শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে অভিহিত করেছে।