Thank you for trying Sticky AMP!!

করোনা নিয়ে উত্তর কোরিয়ার নতুন কথা

এক বৈঠকে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং–উন করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। ছবি: রয়টার্স

উত্তর কোরিয়ায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নেই—এমনটাই দাবি দেশটির নেতা কিম জং–উনের। তিনিই আবার করোনার বিস্তার ঠেকাতে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। দেশটির সরকারি গণমাধ্যমের গতকাল রোববারের খবরে জানা যায়, এক বৈঠকে কিম জং–উন এই আহ্বান জানান। খবর এএফপির।

এ বছরের জানুয়ারি মাসে প্রতিবেশী দেশ চীনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের পরেই সীমান্ত বন্ধ করে দেয় উত্তর কোরিয়া। পরমাণবিক শক্তির অধিকারী এই দেশ সে সময়েই কঠোর নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা আরোপ করে।

পিয়ংইয়ংয়ের কর্মকর্তারা এবং সেখানকার সরকারি গণমাধ্যম বারবারই বলছে, উত্তর কোরিয়া করোনাভাইরাসের সংক্রমণমুক্ত, গতকালের বিবৃতি এই বক্তব্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

কোরীয় সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) বলছে, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের বিস্তার মানবজাতির জন্য বড় বিপর্যয়। বিবৃতিতে বলা হয়, পিয়ংইয়ং মহামারি পরিস্থিতির বিরুদ্ধে স্থিতিশীল অবস্থা বজায় রেখেছে। কিন্তু করোনার বিস্তারের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতি আমাদের লড়াই ও উন্নতিতে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।

কেসিএনএ বলছে, ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টি অব কোরিয়ার সেন্ট্রাল কমিটির পলিটিক্যাল ব্যুরোর বৈঠকে গত শনিবার নীতিনির্ধারণী কর্মপন্থা বদল নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কর্মকর্তারা কড়া পদক্ষেপ নিতে এবং ভাইরাসের সংক্রমণ পরীক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন। উত্তর কোরিয়ার জনগণের জীবন ও নিরাপত্তা রক্ষায় আরও পদক্ষেপ নিতে যৌথ প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।

উত্তর কোরিয়ার সরকারি রডং সিনমুন পত্রিকায় প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, ওই বৈঠকে দেশটির নেতা কিম জং–উনসহ কোনো নেতাই মাস্ক পরেননি। একটি গোলটেবিলের চারপাশে সবাই কাছাকাছি বসেছিলেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুর্বল স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার কারণে উত্তর কোরিয়া করোনাভাইরাস মোকাবিলায় নাজুক অবস্থায় রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, পিয়ংইয়ং করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব লুকাচ্ছে। করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে উত্তর কোরিয়া সে দেশের কয়েক হাজার মানুষ ও শতাধিক বিদেশিকে আইসোলেশনে রেখেছে। বিদেশিদের মধ্যে কয়েকজন কূটনীতিকও রয়েছেন।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়েছে করোনাভাইরাস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে এএফপির হিসাবে বলা হয়, ১৯৩ দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ১৭ লাখ ছাড়িয়েছে। এক লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।