Thank you for trying Sticky AMP!!

কিম জং-উনের ভাই ছিলেন সিআইএর চর

উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং-উনের সৎভাই কিম জং-নাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চর ছিলেন। ছবি: এএফপি

উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং-উনের সৎভাই কিম জং-নাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চর ছিলেন। চাঞ্চল্যকর এ তথ্য প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রেরই একটি শীর্ষ পত্রিকা নিউইয়র্কভিত্তিক ‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’।

মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে ‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’ জানিয়েছে, কিম জং-নাম যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর তথ্যদাতা ছিলেন। জং-নাম ২০১৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি গুপ্তহত্যার শিকার হন।

এই পুরো ঘটনা সম্পর্কে অবগত, এমন এক ব্যক্তির বরাত দিয়ে ‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’ জানিয়েছে, কিম জং-নাম সিআইএর গোয়েন্দাদের সঙ্গে বেশ কয়েকবার দেখা করেছেন। তিনি সিআইএর কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্যই মূলত ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে মালয়েশিয়া ভ্রমণ করেন। ওই সময় কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্নায়ুযুদ্ধের সময়কার কায়দায় তিনি গুপ্তহত্যার শিকার হন। তাঁর ওপর স্নায়বিক এজেন্ট প্রয়োগ করা হয়েছিল। দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র এই ঘটনার পর দাবি করে, উত্তর কোরিয়া এই হত্যা করিয়েছে। যদিও পিয়ংইয়ং ওই দাবি নাকচ করে।

এই ঘটনায় মালয়েশিয়া দুই তরুণীকে গ্রেপ্তার করেছিল। তাঁদের একজন ভিয়েতনামের নাগরিক সিতি আইসিয়াহ ও আরেকজন ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক দোয়ান থি হুয়ং। তাঁদের বিরুদ্ধে কিম জং-নামকে খুনের অভিযোগ গঠন করা হয়েছিল। আদালতে ওই দুই তরুণী দাবি করেন, তাঁরা উত্তর কোরিয়ার গোয়েন্দাদের ফাঁদে পড়ে ওই স্নায়বিক এজেন্ট বহন করেছিলেন। স্নায়বিক এজেন্টের কথা তাঁরা জানতেন না। টেলিভিশনের রিয়েলিটি শোর জন্য প্র্যাঙ্ক (মজা) করার কথা বলে তাঁদের ওই বিপজ্জনক বস্তু ধরিয়ে দিয়েছিল গোয়েন্দারা। মালয়েশিয়া পরে তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেয়। সিতিকে গত মার্চে এবং হুয়ংকে গত মে মাসে মুক্তি দেওয়া হয়।

কিম জং উনের সৎভাই কিম জং-নামের উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা হওয়ার কথা ছিল একসময়।

উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম সর্বোচ্চ নেতা কিম ইল-সাংয়ের পর সর্বোচ্চ নেতা হয়েছিলেন তাঁর বড় ছেলে কিম জং-ইল। আর ইলের উত্তরসূরি ছিলেন তাঁর তিন ছেলে। বড় ছেলে ছিলেন কিম জং-নাম, মেজ ছেলে কিম জং-চুল আর কনিষ্ঠ ছেলে ছিলেন কিম জং-উন। নিয়ম অনুসারে বড় ছেলে জং-নামেরই ইলের পর সর্বোচ্চ নেতা হওয়ার কথা ছিল। তবে ২০০১ সালে তিনি পাসপোর্ট নকল করে জাপানের ডিজনিল্যান্ডে যাওয়ার চেষ্টা করে ধরা পড়েন এবং জাপান তাঁকে বহিষ্কার করে। এরপরই বাবা ইলের বিরাগভাজন হন তিনি এবং ২০০৩ সালে উত্তর কোরিয়া তাঁকে নির্বাসিত করে। এরপর ২০১০ সালে উত্তরসূরি ঘোষণা করা হয় উনকে এবং ২০১১ সালে ইলের মৃত্যুর পর উন ক্ষমতায় আসেন। সেই থেকে তিনি কিম বংশের একজন কড়া সমালোচক হন জং-নাম। তথ্যসূত্র: রয়টার্স