Thank you for trying Sticky AMP!!

কিরগিজস্তানে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে

মধ্য এশিয়ার দেশ কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে হটলাইন নম্বরের কলসেন্টারগুলো ইদানীং অনেক ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। অনেকেই ফোন করে করোনা উপসর্গের কথা বলছেন। অথচ কিছুদিন আগেও এ চিত্র ছিল না। সেখানে এখন বাড়ছে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা।

কলসেন্টারের পরিচালক আশকাত আবদিকারিমভ বলেন, তিনি ও তাঁর ৬০ সদস্যের চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীর দল প্রতি সপ্তাহে তিন হাজারের বেশি কলের জবাব দিচ্ছেন। তবে যখন এ কল সেন্টার প্রথম চালু করা হয়, তখন চিকিৎসার বাইরের বিভিন্ন কল আসত। এখন অর্ধেকের বেশি কল আসছে করোনা বিষয়ক।

বিশকেক এখন মধ্য এশিয়া অঞ্চলের নতুন করোনাভাইরাস ছড়ানোর কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। গত মে মাসের পর কিরগিজস্তান ও তাদের প্রতিবেশী কাজাখস্তান ও উজবেকিস্তান লকডাউন শিথল করতে শুরু করে। এখন পর্যন্ত নিজেদের ভাইরাসমুক্ত ঘোষণা করা তুর্কমিনিস্তান গত সোমবার থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ১০ দিনের মিশন পরিচালনা করছে।

কিরগিজস্তানে এ মাসের মধ্যেই দুইবার দৈনিক সংক্রমণ পাঁচ শ'র ওনরে গেছে। গত মে মাসে দেশটিতে লকডাউন শিথিল করার আগে মোট সংক্রমিত রোগীর সংখ্যার চেয়েও যা বেশি। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮ হাজারের বেশি সংক্রমিত রোগী রয়েছে। তবে প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে অনেক বেশি হতে পারে।

দেশটিতে পরীক্ষার ঘাটতি ও দুর্বল মানের কারণে সেখানে করোনাভাইরাস ঠিকমতো শনাক্ত হচ্ছে না ও মৃত্যুর কারণ ঘটছে বলে জানিয়েছে এএফপি।

কাজাখস্তানের চিত্রও মোটামুটি একই রকম। সেখানকার হাসপাতালগুলো রোগীতে ভরে গেছে এবং ওষুধের স্বল্পতা দেখা দিয়েছে। সেখানে সংক্রমিত রোগী শনাক্তের সংখ্যা চারগুণ পর্যন্ত বেড়েছে। দেশটিতে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ৪৮ হাজার পার হয়ে গেছে।

কাজাখস্তানে গত মার্চ মাসে যেসব বিধিনিষেধ আরোপ করা ছিল আবার তা নতুন করে আরোপ করা হয়েছে। তবে কিরগিজস্তানে আর নতুন করে লকডাউন করার কথা ভাবা হচ্ছে না। সরকার স্বীকার করেছে, তারা যে পরিমাণ অর্থ আন্তর্জাতিক সাহায্য পেয়েছে, তা বেতনভাতায় ফুরিয়ে গেছে। ফলে স্বাস্থ্য খাতে উন্নতি হয়নি।

দুর্নীতি প্রবণ এ অঞ্চলটিতে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে দাতব্য অর্থ নয়ছয় করার জন্য কর্মকর্তাদের অভিযুক্ত করা হচ্ছে।