Thank you for trying Sticky AMP!!

কোন পথে ইরাক?

আইএস হটানোর সঙ্গে সঙ্গেই মুক্ত জীবনের স্বাদ পাচ্ছে ইরাকের মানুষ। খোলা হচ্ছে নতুন দোকান ও রেস্তোরাঁ। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সেসব জায়গায় ভিড় করছেন অনেকে। ছবি: এএফপি

১৫ বছর আগে ইরাকে আগ্রাসন চালিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনী। দেশটিতে বিধ্বংসী রাসায়নিক অস্ত্র আছে—এই অভিযোগ তুলে ওই আগ্রাসনকে জায়েজ করেছিলেন বুশ-ব্লেয়াররা। তৎকালীন একনায়ক সাদ্দাম হুসেইনকে উৎখাত করে ইরাকে নতুন শাসনব্যবস্থা কায়েম করা হয়। এরপরই ইসলামিক স্টেট (আইএস) নামের নতুন আতঙ্কের উত্থান ঘটে। গত এক বছরে সেই কালো পতাকাধারীদের দৌরাত্ম্য কমে এসেছে। কিন্তু আদতেই কি পরিবর্তন আসছে ইরাকে? নাকি সবই প্রহেলিকা?

ইরাকের অন্যতম বড় শহর মসুল। কিছুদিন আগেও এটি ছিল আইএস সদস্যদের শক্ত ঘাঁটি। মদ্যপান করলে তখন শাস্তি ছিল ৮০টি দোররা। এখন মসুলে পানশালা খুলেছে, আবার টেবিলে ফিরেছে হুইস্কির বোতল। মসুল বিশ্ববিদ্যালয়ের চারপাশে নতুন দোকান খোলা হয়েছে। টাইগ্রিস নদীর তীরের নতুন রেস্তোরাঁগুলোয় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভিড় করছেন অনেক মানুষ। মুখ ঢাকা বোরকা বা নিকাব ঘরে রেখে সেখানে উপস্থিত হচ্ছেন বহু নারী।

২০১৪ সালে মসুল শহর দখল করে নিয়েছিল(আইএস। এরপর পরই ইরাকের অর্ধেকেরও বেশি এলাকা দেশটির সরকারের নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে। ওই সময় রাজধানী বাগদাদ দখল করাই ছিল আইএসের জিহাদিদের লক্ষ্য। ২০১৫ সালে অপরিশোধিত তেলের দাম কমে যাওয়ায় ইরাকের সরকারই ভেঙে গিয়েছিল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর সেবারই প্রথম গৃহযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল দেশটি।

গত ১৫ বছরে যুক্তরাষ্ট্রের ইরাক আগ্রাসনের কারণে প্রায় তিন লাখ ইরাকি নাগরিক ও চার হাজার চার শ মার্কিন সেনা নিহত হয়েছেন। এরপর আইএসের সঙ্গে যুদ্ধে কমপক্ষে সাত হাজার বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। ছবি: রয়টার্স

৪ কোটি লোকের বাস ইরাকে। দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীগুলো ধীরে ধীরে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোসহ বড় বড় শহর পুনর্দখল করেছে। ইরাকের সেনাবাহিনীকে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে ‘সফল’ বাহিনীর তকমা দিয়েছে জাতিসংঘ। ২০১৬ সালের তুলনায় তেলের দাম এখন বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ, উৎপাদন বেড়ে রেকর্ড পরিমাণে পৌঁছেছে। দেশটিতে বিনিয়োগ নিয়ে কথা বলতে প্রায় ২ হাজার বিনিয়োগকারী সম্প্রতি কুয়েতে কনফারেন্সও করেছেন। আইএস হটানোর সঙ্গে সঙ্গেই এসব ইতিবাচক ঘটনা ঘটতে শুরু করেছে। প্রতিবেশীরাও বেশ সদয় ইরাকের প্রতি। যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান পরস্পরের শত্রু হলেও দুই দেশই ইরাককে সামরিক ও রাজনৈতিক সহায়তা দিচ্ছে। ২০০৩ সালের পর ইরাকের চতুর্থ গণতান্ত্রিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী মে মাসে। বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ সংস্থার মতে, ইরাকের অধিবাসীরা মুক্তভাবে নিজেদের মতামত জানাতে পারছেন। সংবাদমাধ্যম ও নাগরিক সমাজও আগের চেয়ে সক্রিয়।

লন্ডনভিত্তিক সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্টের এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, অনেকে মনে করে থাকেন, ইরাকিদের সুপথে ফেরানোর জন্যই যুদ্ধের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সেটি ছিল খুব ভয়ানক একটি পদ্ধতি। বাগদাদভিত্তিক একটি থিংক ট্যাংকের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, গত ১৫ বছরে যুক্তরাষ্ট্রের ইরাক আগ্রাসনের কারণে প্রায় তিন লাখ ইরাকি নাগরিক ও চার হাজার চার শ মার্কিন সেনা নিহত হয়েছেন। এরপর আইএসের সঙ্গে যুদ্ধে কমপক্ষে সাত হাজার বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। এই যুদ্ধে দেশটির ২০ হাজার নিরাপত্তাকর্মী নিহত হওয়ার পাশাপাশি প্রাণ গেছে ২৩ হাজার আইএস যোদ্ধার। প্রাণহানির সঙ্গে সঙ্গে পুরোনো শহর মসুলের অসংখ্য পুরাকীর্তি ধ্বংস হয়ে গেছে। প্রায় ৬০ লাখ মানুষ উদ্বাস্তু হয়েছে। আর এই উদ্বাস্তুদের বেশির ভাগই সুন্নি মতাবলম্বী।

বার্তা সংস্থা এএফপির বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, দেশটির দীর্ঘমেয়াদি ক্ষয়ক্ষতির মূল কারণ গোষ্ঠীভিত্তিক ও জিহাদি হামলা। ইরাকি জনগণের মনে যে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে, তা প্রশমন করা বেশ সময়সাপেক্ষ। একই সঙ্গে এটি ইরাককে একটি পিছিয়ে পড়া অর্থনীতির উত্তরাধিকার দিয়েছে। সেই মার্কিন আগ্রাসনের পর থেকেই দেশটির জনগণকে শুধু দুঃখ-কষ্টই মেনে নিতে হচ্ছে।

ইরাকের সেনাবাহিনীকে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে ‘সফল’ বাহিনীর তকমা দিয়েছে জাতিসংঘ। ধীরে ধীরে দেশটির সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোসহ বড় বড় শহর পুনর্দখল করেছে সরকারি বাহিনী। ছবি: রয়টার্স


কী অবস্থা ইরাকে?
দ্য ইকোনমিস্টের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, বর্তমানে তিনটি আদর্শ ইরাককে ছিঁড়েখুঁড়ে ফেলছে। প্রথমটি হলো সুন্নিদের পুনর্দখলের মতবাদ। ইরাকের মোট জনগোষ্ঠীর ১৫ থেকে ২০ শতাংশ হলো সুন্নি মতাবলম্বী। অটোমান সাম্রাজ্যের সময় থেকেই ইরাকে তাঁদের প্রাধান্য ছিল। দেশটিতে আল-কায়েদা ও আইএসের বীজ বপন করার জন্য সুন্নিদের দায়ী করা হয়। তবে এখনকার ইরাকে তাদের অবস্থা কিছুটা দুর্বল। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সরকারের প্রভাবশালী একজন উপদেষ্টা বলেন, ‘সুন্নিরা এখন বুঝতে পেরেছে যে তারা আর এখানকার কর্তাব্যক্তি নয়। ওই স্থান কুর্দি বা শিয়াদের হাতে ছেড়ে দিতে হবে।’

দ্বিতীয় আদর্শটি শিয়া মতাবলম্বীদের হাতে তৈরি আধিপত্যবাদ। ইরাকের ৬০ শতাংশ জনগোষ্ঠী হলো শিয়া। তারাই দেশটির সংখ্যাগরিষ্ঠ গোষ্ঠী। গত ১৪ বছর ধরে শিয়া ধর্মীয় দলগুলোর অপশাসনের কারণে এই গোষ্ঠীর প্রভাব এখন অনেকটাই কমে গেছে। তবে শিয়া–অধ্যুষিত ইরাকের দক্ষিণাঞ্চল এখনো দেশটির বেশির ভাগ তেলের মালিক।

আর তৃতীয় আদর্শটি হলো কুর্দি জাতীয়তাবাদ। পুরো আরব এলাকাজুড়ে কুর্দিরা চারটি দেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। ইরাকের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বহু দিন ধরেই প্রায় স্বাধীনভাবেই দিনাতিপাত করে আসছেন তাঁরা। গত সেপ্টেম্বর মাসে হুট করেই কুর্দি প্রেসিডেন্ট মাসুদ বারজানি পরিপূর্ণ রাষ্ট্রের মর্যাদা পেতে গণভোটের ডাক দিয়ে বসেছিলেন। ইরাকি বাহিনীর হাতে তাঁর সেই আকাঙ্ক্ষার সলিলসমাধি ঘটেছে। কারণ, গণভোটের ঘোষণার পরই কুর্দিদের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের বাইরের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকা দখল করে বসে ইরাকি বাহিনী। এখন একঘরে অবস্থা থেকে বের হতে আলাপ-আলোচনা চালাচ্ছেন কুর্দি নেতারা। সেদিক থেকে কুর্দিদের ওপরও যে সরকারের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে, তা বলাই যায়।

নিরাপত্তাব্যবস্থার উন্নতির কারণে বাগদাদের চারপাশের নিরাপত্তা চৌকিগুলোর সিংহভাগই এখন তুলে দেওয়া হয়েছে। ২০১৫ সালেই প্রত্যাহার করা হয়েছিল কারফিউ। এই শান্ত পরিস্থিতির কারণে উদ্বাস্তু ইরাকি নাগরিকেরাও এখন দেশে ফিরতে শুরু করেছেন। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, যুদ্ধের পর একটি অঞ্চলে উদ্বাস্তু জনগোষ্ঠীর ফিরে আসতে গড়ে পাঁচ বছর সময় লাগে। বিশ্বজুড়েই এই ধরন লক্ষ্য করা গেছে। কিন্তু ইরাকে একই ঘটনা ঘটেছে মাত্র তিন মাসে। কোনো ধরনের ক্ষতিপূরণ, বিদ্যুৎ বা পানির সরবরাহ ছাড়াই লাখ লাখ মানুষ ঘরে ফিরতে শুরু করেছে। সরকারের সাহায্যের আশায় না থেকে নিজেরাই তৈরি করছেন ঘরবাড়ি। ইরাকে জাতিসংঘের কার্যক্রমে সহায়তাকারী হিসেবে কাজ করা লিজে গ্রান্ডের ভাষায়, ‘আধুনিক যুদ্ধের ইতিহাসে এমন চিত্র আমরা কখনো দেখিনি।’

আগামী মে মাসে ইরাকে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপলক্ষে চলছে প্রচারণা। সংখ্যাগরিষ্ঠ ইরাকিরা এখন জনপ্রতিনিধি হিসেবে নতুন ব্যক্তিত্ব চান। ছবি: রয়টার্স

তিকরিত ইউনিভার্সিটির শরিয়া স্টাডিজের ডিন আনোয়ার ফারিস আবদ ইকোনমিস্টকে বলেন, বিভিন্ন মতাবলম্বীদের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করতে দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচিতে কিছু পরিবর্তন আনা হচ্ছে। সুন্নি মতাবলম্বীরাও এখন শিয়া মতবাদ নিয়ে পড়াশোনা করছেন। নিরাপদে আছে দেশের সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীও।

অন্যদিকে, ধর্মভিত্তিক রাজনীতির ওপর ইরাকের জনগণের আস্থা দিন দিন কমছে। একটি জনমত জরিপের বরাত দিয়ে দ্য ইকোনমিস্ট বলছে, ধর্ম বা গোষ্ঠীভিত্তিক রাজনীতিবিদ চান মাত্র ৫ শতাংশ নাগরিক। আর সংখ্যাগরিষ্ঠ ইরাকিরা এখন জনপ্রতিনিধি হিসেবে নতুন ব্যক্তিত্ব চান। শিয়া মতাবলম্বীরা আগে ছিলেন কট্টরপন্থী, আর এখন তাঁরাই অন্য গোষ্ঠীর মানুষকে নিজেদের দলে ভেড়াতে কাজ করে যাচ্ছেন। দেশটির বিভিন্ন শহরের পাঠাগারে এখন জায়গা করে নিচ্ছে মার্ক্সের লেখা বই ও অন্য ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ। কিছু কিছু রাজনৈতিক দল নাম পাল্টে হচ্ছে ধর্মনিরপেক্ষ।

দ্য ইকোনমিস্ট বলছে, কাজের অভাব ও পুনর্গঠনপ্রক্রিয়ার ধীরগতি ইরাকের প্রধান সমস্যা। দেশটির সরকারের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের বেশির ভাগই ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তৈরি প্রশাসনের উত্তরাধিকারী। দেশটির ৩০ লাখ শিশু স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না। ইরাকের মোট জনগোষ্ঠীর এক-চতুর্থাংশই দরিদ্র। আর দেশের সার্বিক অগ্রগতিতে বাধা দিচ্ছে সরকারি কর্মকর্তাদের লাগামহীন দুর্নীতি।

বার্তা সংস্থা এএফপির এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ইরাক ‘এক পা এগোচ্ছে, তো পাঁচ পা পেছাচ্ছে’। সাদ্দাম–পরবর্তী শাসনব্যবস্থা সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো পরিকল্পনা ছিল না। এখন নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর মদদে দুর্নীতি বাড়ছে এবং গোষ্ঠীকেন্দ্রিক উত্তেজনার বারুদে আগুন দিচ্ছে। স্থানীয় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আবদেল সালাম আল-সামের বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মতো ইরাকের অবস্থাও দিন দিন খারাপ হচ্ছে। দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’

ইরাকের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-আবাদিকে নিয়ে আশাবাদী হচ্ছেন অনেকে। শিয়া-সুন্নি, দুই শিবিরেই তিনি গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছেন। ছবি: এএফপি


আবার আইএস?
দ্য ইকোনমিস্টের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, জনমনে অসন্তোষ থেকেই অনেক বড় বিপদের সৃষ্টি হয়। সাদ্দাম হুসেইনের মতো একনায়ককে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আবার ইরাকের নাগরিকদের মধ্যে তৈরি হতে পারে। তখন গণতন্ত্রকে মনে হবে অভিশাপ। এখনই এ নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়ে গেছে।

জাতিসংঘের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ইরাকের প্রধান শহরগুলোয় ফের দেখা যেতে পারে আইএস যোদ্ধাদের। কারণ, অনেক আইএস যোদ্ধাই দাড়িগোঁফ কেটে আত্মগোপন করেছে। শরণার্থীশিবিরগুলোয় তারা আশ্রয় নিয়েছে। সেখানে আইএসের অনেক স্লিপার সেল আছে। সুযোগ বুঝে তারা আবার প্রকাশ্যে আসার চেষ্টা করতে পারে। একই ভয় আছে ইরাকের কারাগারগুলোয় বন্দী আইএস যোদ্ধাদের নিয়েও।

তবে ইরাকের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-আবাদিকে নিয়ে আশাবাদী হচ্ছেন অনেক বিশ্লেষক। ইকোনমিস্ট বলছে, শিয়া মতাবলম্বী হলেও তিনি সুন্নিদের মধ্যেও জনপ্রিয়। আর এই বিষয়টিই তাঁকে অনন্য করে তুলেছে। শিয়া-সুন্নি, দুই শিবিরেই হায়দার আল-আবাদি গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছেন। এর ফলে ২০০৩ সালের পর প্রথমবারের মতো দেশটিতে গোষ্ঠী ও দলমত-নির্বিশেষে একটি আপাত নিরপেক্ষ সরকার গঠনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

এখনো নিজের সামরিক বিজয়কে রাজনৈতিক বিজয়ে পরিণত করতে পারেননি হায়দার আল-আবাদি। যুদ্ধ থেকে রেহাই পাওয়ার পর সামাজিক সংস্কার করার কাজটি তাঁর সরকার ঠিকমতো করতে পারছে না; বরং নাগরিক কোন্দল আবার আগের রূপে চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ইরাকের শাসকশ্রেণিকে শান্তির পথে বিজয় অর্জনের পথ নিশ্চিত করার দক্ষতা অর্জন করতে হবে। তা না হলে অস্থির জনপদ হয়েই রয়ে যাবে ইরাক।