Thank you for trying Sticky AMP!!

ক্ষেপণাস্ত্রবাহী নতুন সাবমেরিন পরিদর্শন কিমের

আজ মঙ্গলবার নতুন সাবমেরিনের কর্মক্ষম ও কৌশলগত তথ্য এবং যুদ্ধাস্ত্রপদ্ধতি পরিদর্শন করেন কিম। ছবি: রয়টার্স।

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন আজ মঙ্গলবার নবনির্মিত বৃহদাকার একটি সাবমেরিন পরিদর্শন করেছেন বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ। কিমের এ পরিদর্শন সাবমেরিনচালিত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ক্রমাগত উন্নয়নের সম্ভাব্য সংকেত দিচ্ছে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকেরা।

নতুন সাবমেরিনের কর্মক্ষম ও কৌশলগত তথ্য এবং যুদ্ধাস্ত্রপদ্ধতি পরিদর্শন করেন কিম। কেসিএনএ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, কিমের ‘বিশেষ পর্যবেক্ষণে’ তৈরি সাবমেরিনটি পূর্ব উপকূলের জলসীমায় তৎপর থাকবে। সাবমেরিন পরিচালনার স্থাপনাটি উপকূলের কাছেই তৈরি করা হয়েছে।

কিম বলেন, ‘আমাদের দেশের পূর্ব এবং পশ্চিম দিক সমুদ্রবেষ্টিত। কাজেই দেশের জাতীয় প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করতে একটি সাবমেরিনের কার্যক্ষমতা এখানে বেশ গুরুত্বপূর্ণ।’

বার্তা সংস্থা রয়টার্স কেসিএনএর বরাতে জানিয়েছে, সাবমেরিনটিতে কী ধরনের অস্ত্রব্যবস্থা বসানো হয়েছে বা কিম কখন ও কোথায় এটি পরিদর্শন করেছেন, সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।

উত্তর কোরিয়ার একটি বড় সাবমেরিনবহর আছে। কিন্তু তার মধ্যে কেবল একটি পরীক্ষামূলক সাবমেরিন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে সক্ষম। বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, নতুন সাবমেরিনের আকারের দেখে ধারণা করা যাচ্ছে, ক্ষেপণাস্ত্র বহনের উপযোগী করেই এর নকশা করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আমেরিকান বিজ্ঞানীদের ফেডারেশনের জ্যেষ্ঠ কর্মী অঙ্কিত পান্ডা বলেন, ‘স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে, এটি একটি বিশাল সাবমেরিন। ২০১৪ সাল থেকে উত্তর কোরিয়ার এ ধরনের যে সাবমেরিন আছে, তার তুলনায় এটি অনেক বড়। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কুচকাওয়াজের পর এই প্রথম কোনো পারমাণবিক অস্ত্রবাহী সামরিকপদ্ধতি পর্যবেক্ষণ করলেন তিনি। আমার কাছে গোটা ব্যাপার একটি অশুভ সংকেত মনে হচ্ছে। এ বছরের শেষার্ধের মধ্যে মার্কিন নীতিতে পরিবর্তন আনার যে সময়সীমা কিম বেঁধে দিয়েছিলেন, এবার তাকে গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া প্রয়োজন।’

২০১৬ সাল থেকে এসএলবিএম কর্মসূচিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে উত্তর কোরিয়া। কয়েক বছরের মধ্যে একটি সাবমেরিন থেকে পরীক্ষামূলক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সাফল্যের সঙ্গে নিক্ষেপ করা হয়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে পারমাণবিক শক্তিচ্যুতকরণ–বিষয়ক বৈঠকের সময় আইসিবিএম এবং পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা স্থগিত রাখার ঘোষণা দিয়েছিলেন কিম।