Thank you for trying Sticky AMP!!

গোয়েন্দা তৎপরতায় ত্রুটি থাকার কথা স্বীকার শ্রীলঙ্কার

শ্রীলঙ্কায় শোকাহত এক স্বজন। ছবি: বিবিসির সৌজন্যে

ভয়াবহ বোমা হামলার ঘটনায় গোয়েন্দা তৎপরতার ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকার কথা স্বীকার করেছে শ্রীলঙ্কা। গত রোববার দেশটির তিনটি গির্জা, তিনটি হোটেল ও কয়েকটি এলাকায় বোমা হামলায় ৩৫৯ জন নিহত হন। আহত ৫০০ জনের বেশি।

আজ বৃহস্পতিবার বিবিসি অনলাইনের খবরে জানানো হয়, এই মাসের শুরুতেই হামলার পরিকল্পনা নিয়ে ভারতের একটি গোয়েন্দা সংস্থা শ্রীলঙ্কাকে সতর্ক করেছিল। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে গোয়েন্দা–সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর মধ্যে সেভাবে আলোচনা হয়নি। পার্লামেন্টেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়।

বিবিসি অনলাইনের খবরে জানানো হয়, শ্রীলঙ্কার প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দায় নিতে হবে। যদি গোয়েন্দা তথ্য সঠিক লোকজনের কাছে পৌঁছানো যেত, তাহলে এই হামলা এড়ানো যেত বা ক্ষয়ক্ষতি কমানো যেত।’

পার্লামেন্ট নেতা লক্ষ্মণ কিরিয়েলা বলেন, জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা সম্ভাব্য হামলা নিয়ে যথাযথ দায়িত্ব পালন করেননি। পার্লামেন্ট সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, শীর্ষ কয়েকজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা উদ্দেশ্যমূলকভাবে গোয়েন্দা তথ্য গোপন করেছিলেন। তথ্য হাতে ছিল। কিন্তু নিরাপত্তা কর্মকর্তারা যথাযথ পদক্ষেপ নেননি।

পার্লামেন্ট নেতা লক্ষ্মণ কিরিয়েলা বলেন, ৪ এপ্রিল ভারতের সতর্কতার তথ্য এসে পৌঁছায়। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী কেউই তা গ্রহণ করেননি।

শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে বরখাস্ত করার পদক্ষেপ নিয়েছেন।

নয়জন হামলাকারীর মধ্যে আটজন শ্রীলঙ্কার নাগরিক বলে শনাক্ত হয়েছে। হামলায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) জড়িত কি না, তা নিয়ে তদন্ত করছে শ্রীলঙ্কার সরকার। প্রকাশিত হয়েছে যে হামলাকারীদের একজন যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা করেছেন।

হামলার পর গত মঙ্গলবার আইএস দায় স্বীকার করে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। ভিডিওতে একজনের মুখ খোলা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি হাশিম। ভিডিওতে দেখা যায়, দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন হাশিম। তাঁরা আইএসপ্রধান আবু বকর আল বাগদাদির অনুসারী। শ্রীলঙ্কার সরকারও ইতিমধ্যে তাঁকে হাশিম হিসেবেই অভিহিত করেছে। তবে তারা এই কথা সরাসরি বলেনি। ধারণা করা হচ্ছে, এই হাশিম দেশটির উগ্রপন্থী ইসলামি গোষ্ঠী ন্যাশনাল তৌহিদ জামায়াতের (এনটিজে) নেতা। তিনি এই হামলার প্রধান সন্দেহভাজন।

হাশিমের বোন মোহাম্মদ হাশিম মাদানিয়া বিবিসিকে জানান, গণমাধ্যম থেকে তিনি হাশিমের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জেনেছেন। তিনি বলেন, ‘ভাবতেও পারছি না সে এমন কাজ করতে পারে। সে যা করেছে, আমি তার নিন্দা জানাই। আমি আর তাকে নিয়ে ভাবি না।’