Thank you for trying Sticky AMP!!

আগে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করুন, যুক্তরাষ্ট্রকে খামেনি

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, যদি ওয়াশিংটন চায় তেহরান ২০১৫ সালের চুক্তিতে ফিরুক, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রকে সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে। রোববার এক টুইট বার্তায় খামেনি এ কথা বলেন।

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি

খামেনি টুইট বার্তায় বলেন, ‘ইরান ২০১৫ সালের চুক্তির অধীনে সব বাধ্যবাধকতা পালন করেছে, যা যুক্তরাষ্ট্র ও তিন ইউরোপীয় দেশ করেনি।...যদি তারা চায় ইরান তার প্রতিশ্রুতিতে ফিরে আসুক, তাহলে প্রথমে অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে।’ খামেনি আরও বলেন, ‘সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হয়েছে কি না, তা যাচাই-বাছাই শেষে আমরা ফিরে আসব।’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন ক্ষমতায় বসেছে গত মাসে। ইতিমধ্যে বাইডেন বলেছেন, তেহরান যদি ২০১৫ সালের পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ চুক্তির পরিপূর্ণ শর্তে ফিরে আসে, তাহলে ওয়াশিংটন এই চুক্তিতে ফিরে আসার নীতি অনুসরণ করবে।


২০১৫ সালের জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ অ্যাকশন প্ল্যান (জেসিপিওএ) নামের এই চুক্তি ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া ও চীনের মধ্যে হয়। তবে ২০১৮ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেসিপিওএ থেকে বেরিয়ে যান এবং তেহরানের ওপর পুনরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। এরপর ইরান একের পর এক চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ শুরু করে।

এরই মধ্যে গত ডিসেম্বরে ইরানের পার্লামেন্টে একটি আইন পাস হয়। যাতে বলা হয়, দুই মাসের মধ্যে (২১ ফেব্রুয়ারি) যদি যুক্তরাষ্ট্র তাদের নিষেধাজ্ঞা তুলে না নেয়, তাহলে তেহরান পারমাণবিক কার্যক্রম শক্তিশালী করবে। চলতি মাসের শুরুতে ইরান ভূগর্ভস্থ ফরদো পারমাণবিক স্থাপনায় ২০ শতাংশ পর্যন্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের কাজও শুরু করে।

ইতিমধ্যে জেসিপিওএতে যুক্তরাষ্ট্রকে ফিরিয়ে আনতে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) সমন্বয়কের দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছিলেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাভেদ জারিফ। সম্প্রতি মস্কোতে ইরান ও রাশিয়ার শীর্ষ কূটনীতিকদের বৈঠক হয়। সেখানেও তাঁদের মধ্যে গুরুত্বসহকারে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়।