Thank you for trying Sticky AMP!!

অবস্থান বদল জর্ডানের প্রিন্সের, সংবাদ প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা

হামজা বিন হুসেন

জর্ডানের বাদশা দ্বিতীয় আবদুল্লাহর সৎভাই প্রিন্স হামজার করা প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের অভিযোগের বিষয়ে দেশটির গণমাধ্যমের সংবাদ প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। রাজপরিবারের প্রতি হামজার ‘নাটকীয় আনুগত্য’ প্রকাশের পরপরই মঙ্গলবার এমন নির্দেশনা জারি করেন আম্মানের প্রসিকিউটর জেনারেল।

এর আগে গত শনিবার সাবেক ক্রাউন প্রিন্স হামজা বিন হুসেন দাবি করেছিলেন, তিনি গৃহবন্দী অবস্থায় রয়েছেন। এরপর গত রোববার টুইটে এক অডিও পোস্টে হামজা জানান, নিজের চলাফেরার ওপর সরকারের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা তিনি মানবেন না। একই দিন দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী আয়মান সাফাদির এক বক্তব্যে হামজার গৃহবন্দীর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়। সাফাদি বলেছিলেন, দেশকে অস্থিতিশীল করার মতো ষড়যন্ত্রে হামজা জড়িত। তিনি বিদেশিদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। কিন্তু সোমবার এ পরিস্থিতির নাটকীয় মোড় নেয় রাজপরিবার থেকে প্রকাশিত হামজার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতির মধ্য দিয়ে। ওই বিবৃতিতে ‘বাদশা ও ক্রাউন প্রিন্সকে সর্বদা সাহায্য ও সমর্থন করতে প্রস্তুত’ বলে প্রতিশ্রুতি দেন হামজা।

Also Read: জর্ডানের প্রিন্সের বিরুদ্ধে বিদেশিদের সঙ্গে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ

রোববার জর্ডানের উপপ্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, জর্ডানকে অস্থিতিশীল করার জন্য বিদেশিদের সঙ্গে হামজার যোগাযোগের বিষয়টি উঠে এসেছে তদন্তে। তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে একটি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা যোগাযোগ করছে। এই দম্পতি জর্ডান ছাড়ার জন্য একটি উড়োজাহাজের ব্যবস্থা করতে গোয়েন্দাদের সঙ্গে ওই যোগাযোগ করেন। এ ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এখন পর্যন্ত ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মুখ রয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। হামজা বাদশাহর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। প্রিন্স হামজা জর্ডানের নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অযোগ্যতা ও হয়রানির অভিযোগ তুলে আসছিলেন। ২০০৪ সালে হামজাকে ক্রাউন প্রিন্সের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মূলত এরপর থেকে রাজপরিবারের সঙ্গে তাঁর মতানৈক্যের শুরু। ক্রাউন প্রিন্স দেশটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদ।