Thank you for trying Sticky AMP!!

জাপানে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত, নিহত ২

জাপানে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় হাগিবিস। ছবি: এএফপি

জাপানে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় ‘হাগিবিস’। শনিবার দেশটির হনশু দ্বীপে এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ে। ঘূর্ণিঝড়ে এখন পর্যন্ত দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। প্রায় ৭৩ লাখ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, গত ৬০ বছরের মধ্যে জাপানে আঘাত হানা ভয়াবহতম ঘূর্ণিঝড় হতে চলেছে এটি।

ঘূর্ণিঝড় হাগিবিসের কারণে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে জাপানের অনেক এলাকা। ছবি: এএফপি

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাতটার কিছুক্ষণ আগে হনশু দ্বীপের ইজু উপদ্বীপে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় হাগিবিস। জাপানের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘণ্টায় প্রায় ২১৬ কিলোমিটার বেগে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড়টি। ঘণ্টায় ২২৫ কিলোমিটার বেগে ঘূর্ণিঝড়টি এখন জাপানের পূর্ব উপকূলের দিকে এগোচ্ছে। এরই মধ্যে জাপানে সর্বোচ্চ বিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে। অতি বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যা ও ভূমিধস হতে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে জনগণকে।

ধারণা করা হচ্ছে, ১৯৫৯ সালের ঘূর্ণিঝড় ভেরার পর এটিই হতে চলেছে ভয়াবহতম ঘূর্ণিঝড়। ভয়াবহ ওই ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় ৫ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিলেন ও নিখোঁজ হয়েছিলেন।

ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রচুর ঘর-বাড়ি। ছবি: রয়টার্স

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৬০ জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে হাজারেরও বেশি উড়োজাহাজ বিমানবন্দরে অবতরণ করতে বাধ্য হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রেল যোগাযোগও। রাজধানী টোকিও ও আশপাশের অনেক এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

জাপানের আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ইয়াশুশি কাজিওয়ারা সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘বিভিন্ন শহর ও গ্রামে অপ্রত্যাশিত ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। বন্যা ও ভূমিধসের মতো ঘটনার সম্ভাবনা খুবই বেশি। এরই মধ্যে সর্বোচ্চ বিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে। মানুষের জীবন বাঁচাতে পদক্ষেপ নেওয়াই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’

ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যা ও ভূমিধসের আশঙ্কা করছে জাপানের আবহাওয়া অধিদপ্তর। ছবি: এএফপি